সিনিয়র টিম ইন্ডিয়া থেকে যুব পর্যায়- কোহলির দু দশকের ক্রিকেট কেরিয়ারে সতীর্থ ছিলেন অনেকেই। তবে কোহলির মত সাফল্য কেউই পাননি। মাত্র ১৯ বছর বয়সে কোহলি কুয়ালালামপুরে যুব বিশ্বকাপে জাতীয় দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। সেই সময়ের অনেকেই পরবর্তীতে দারুণ সফল হয়েছেন, যেমন স্টিভ স্মিথ, রবীন্দ্র জাদেজা, ট্রেন্ট বোল্ট, কেন উইলিয়ামসন।
কোহলি এবং জাদেজা পরবর্তীকালে সুপারস্টার হয়ে উঠলেও মনীশ পাণ্ডে, সিদ্ধার্থ কউল, সৌরভ তিওয়ারি, প্রদীপ সাঙ্গয়ানরা সেই সাফল্যের কনামাত্রও অর্জন করতে পারেননি। মনীশ পাণ্ডে, সিদ্ধার্থ কউল, সৌরভ তিওয়ারি সিনিয়র জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেলেও, বাকিদী সেই পর্যায় পর্যন্তও পৌঁছতে হয়নি। এঁদের মধ্যেই একজন হলেন তরুবর কোহলি। ২০০৮-এ ভারতের যুব দলের ওপেনার ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতের জয়ে কোহলি-শাস্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে টুইট! বেনজির বিতর্কের মুখে কাইফ
জাতীয় দলে খেলার সুযোগ না মেলার পরে তরুবরকে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করতে হয়েছে। ঘটনাচক্রে রঞ্জিতে গ্রুপ পর্যায়ে কিছুদিন আগেই তরুবর বিহারের বিপক্ষে পরপর দুই ইনিংসে ১৫১ এবং ১০১ করেছিলেন। নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ১৫১ করেন তিনি।
তরুবর সম্প্রতি জানিয়েছেন, কীভাবে ক্রিকেট তাঁর জীবন বদলে দিয়েছে, কীভাবে ক্রিকেটারের স্টারডম পাওয়ার ক্ষেত্রে বাহ্যিক বেশ কিছু বিষয় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়।
স্পোর্টসইয়ারি-কে তরুবর জানিয়েছেন, “দুবার ত্রিশতরান করেছিলাম। একবার পাঞ্জাব, দ্বিতীয়বার মিজোরামের হয়ে। তবে সেই সময় সেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচলন ছিল না। আমার পরিসংখ্যানও ঢাকা পড়ে যায়। তবে ক্রিকেট অনেক বদলে গিয়েছে। আমরা যখন বিশ্বকাপে (২০০৮, অনুর্দ্ধ-১৯) খেলেছিলাম, সেই সময়েও ডট বল খেলা যেত। এখন তিনটে ডট বল খেললেও ম্যানেজমেন্ট সন্দেহ করে বসবে।”
আরও পড়ুন: IPL খেলা সঙ্কটে হার্দিকের! বোর্ডের নিয়ম মেনে এই কাজ করতেই হবে সুপারস্টারকে
“সেই সময় ক্রিকেট এত গতিময় ছিল না। ৩০০ রান-ও হামেশাই উঠত না। ২৩০-ও ভাল স্কোর হিসাবে বিবেচিত হত। আইপিএল শুরুর পরে খেলার গতিটাই পাল্টে গেল। যে প্লেয়াররা উঠে এল, সকলেই আক্রমণাত্মক। খেলার সঙ্গে আমরাও অনেক বদলে গিয়েছি।”
তরুবরের কেরিয়ারের অধিকাংশ সময়ই কেটেছে বিরাট কোহলির সঙ্গে তুলনায়। স্রেফ একই পদবি থাকার কারণে। এখনকার যুগে তুল্যমূল্য বিচারের প্রবণতা যখন প্রবল, সেই সময়ে তরুবর কোহলির সঙ্গে বিরাট কোহলির তুলনা টানা নিয়েও বক্তব্য রেখেছেন তিনি।
“আমরা প্রত্যেককেই আলাদা আলাদা রেসে নামতে হয়েছে। বিরাটের টিম মেট থাকার সময় থেকেই আমাদের তুলনা টানা হত। তবে নিজেকে আয়নায় দেখার অভ্যেস রয়েছে আমার। তাই অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করিনা কখনও। তাছাড়া বিরাট যেভাবে নিজের খেলার মান অন্য পর্যায়ে তুলে নিয়ে গিয়েছে, সেটা সম্পূর্ণই ওঁর কৃতিত্ব। আশা করছি ও আরও রান করবে। দ্রুতই ওঁর সেঞ্চুরি খরাও মিটবে।”