গত কয়েক বছর ধরেই জাতীয় দলে নির্বাচনে ইয়ো ইয়ো টেস্ট পাস করা বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ইয়ো ইয়ো টেস্টে উত্তীর্ণ না হতে পেরে বেশ কিছু তারকা ক্রিকেটার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। ভারত বনাম ইংল্যান্ডের সদ্য সমাপ্ত সীমিত ওভারের সিরিজে বরুণ চক্রবর্তী, রাহুল তেওটিয়ার মত উঠতি তারকারাও ইয়ো ইয়ো টেস্টে পাস করতে পারেননি।
এর ফিটনেস টেস্ট নিয়েই এবার মুখ খুললেন বীরেন্দ্র শেওয়াগ। বিস্ফোরক এই জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা সরাসরি বলে দিলেন, নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইয়ো ইয়ো টেস্ট নয়, দক্ষতাই বিচার্য হওয়া উচিত। অতীতে বেশ কয়েকবার বিরাট কোহলি ফিটনেসের গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন। তবে কোহলির এই যুক্তি সরাসরি খন্ডন করে দিচ্ছেন নজফগড়ের নবাব।
আরো পড়ুন: KKR চ্যাম্পিয়ন হলে নিজের প্রতিজ্ঞা ভাঙবেন শাহরুখ, IPL শুরুর আগেই বড় শপথ
ক্রিকবাজ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেওয়াগ জানিয়ে দিয়েছেন, "ক্রিকেটের স্কিল বরাবর গুরুত্বপূর্ণ। দলে খেললেও যদি প্রয়োজনীয় স্কিল না থাকে, তাহলে হারতে হবে। স্কিল বিবেচনা করে খেলানো উচিত। কারণ ফিটনেস ধীরে ধীরে উন্নতি করা সম্ভব। প্রথম থেকেই যদি ইয়ো ইয়ো টেস্ট পাস করা বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে সমস্যা অন্যত্র। যদি একজন বোলার ১০ ওভার বোলিং করার পাশাপাশি ফিল্ডিং করতে পারে, সেটাই অনেক। বাকি কিছু ধর্তব্যের মধ্যে আনা উচিত নয়।"
শেওয়াগকে এক ক্রিকেট সমর্থক জিজ্ঞাসা করেছিলেন, হার্দিক পান্ডিয়া বোলিংয়ে আনফিট ছিলেন। তাহলেও কেন ওঁকে টি২০ সিরিজে রাখা হল? বরুণ চক্রবর্তী বোলিংয়ে ফিট হওয়া সত্ত্বেও দলে নেওয়া হল না। তাহলে কি ক্রিকেটীয় ফিটনেস যোগ্যতার একনম্বর মাপকাঠি নয়?
আরো পড়ুন: IPL-এর আয়োজনেই গলদ, হোটেলে বসে গুরুতর অভিযোগ দিল্লির ইংরেজ তারকার
এমন প্রশ্নের উত্তরেই শেওয়াগ আরো বলেছেন, যদি তাঁদের ক্রিকেটীয় কেরিয়ারে ইয়ো ইয়ো টেস্ট থাকত, তাহলে সৌরভ, লক্ষ্মণের মত ক্রিকেটাররা হয়ত, কোনোদিনই পাস করতে পারত না। সেই সময় ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হলে ১২.৫ পয়েন্ট অর্জন করতে হত।।শেওয়াগ জানিয়েছেন, খুব কম সময়ই লক্ষ্মণ, সৌরভ সেই যোগ্যতামান পেরিয়েছেন।
শেওয়াগ সেই ক্রিকেট ভক্তকে জানান, "হার্দিক পান্ডিয়ার ফিটনেসে কোনো সমস্যা নেই। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের প্রেক্ষিতে ওঁকে বোলিং করানো হয়নি। অন্যদিকে বরুণ চক্রবর্তী ইয়ো ইয়ো টেস্টে পাস করতে পারেনি, তাই ও খেলেনি। ইয়ো ইয়ো-র বিষয়ে আমি মোটেই একমত নই। যদি এই মাপকাঠি আমাদের সময়ে থাকত, তাহলে শচীন, সৌরভ, লক্ষ্মণের মত তারকারা হয়ত কখনই পাস করতে পারত না। আমাদের সময়ে যে টেস্ট হত, সেই পরীক্ষার যোগ্যতামান ১২.৫-এ সবসময়েই ওঁরা কমতি থাকতেন।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন