কোহলি কিংবা ধোনি নন, বীরেন্দ্র শেওয়াগের কাছে সেরা নেতা এখনও সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়। যে বাঙালির অধিনায়কত্বে বিশ্ব ক্রিকেটে একসময়ে ঝড় তুলে দিয়েছিলেন নজফগড়ের নবাব, সেই বঙ্গসন্তানকেই নেতৃত্বের সংশাপত্র দিচ্ছেন শেওয়াগ। তিনি বলে দিচ্ছেন, আগে সৌরভ, তার পরে আসবে ধোনি ও কোহলি। সর্বভারতীয় এক প্রচারমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতকারে কোহলি সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন, "সৌরভ এমন একজন যিনি ম্যাচ গড়াপেটা পরবর্তী অধ্যায়ে দুর্দান্ত এক ক্রিকেট দল গড়তে সক্ষম হয়েছিল। যে পরিস্থিতিতে দাদা প্রায় নিজের হাতে দল তৈরি করেছিলেন, তাতে তাঁর নেতৃত্বের স্বভাবজাত দিকই প্রতিফলিত হয়। সেই দলই ভারতের সাফল্যের রুটম্যাপ তৈরি করে দিয়েছিল"
কীভাবে দলের থেকে সৌরভ সেরাটা বের করে নিতেন সৌরভ, সেকথাও জানিয়েছেন বিধ্বংসী প্রাক্তন এই ওপেনার। ধোনি-কোহলির অধিনায়কত্ব থেকে কোথায় আলাদা সেই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, "যখন আপনার দলে অনভিজ্ঞ ক্রিকেটারে ভর্তি, নতুন দল। তখনই সুযোগ্য নেতৃত্বের প্রয়োজন হয়।"
সরাসরি ধোনি কিংবা কোহলির সমালোচনা না করলেও সহবাগের অনুচ্চারিত বার্তা খুব পরিষ্কার, কোহলি কিংবা ধোনি দুরন্ত একটি তৈরি করে দেওয়া দলের নেতা। কিন্তু সৌরভ নিজের হাতে গড়েছেন টিম ইন্ডিয়াকে। ধোনির সঙ্গে শেওয়াগের সম্পর্ক মোটেই মসৃণ নয়। অনেকেই মনে করেন, ধোনির হস্তক্ষেপেই দিল্লির তারকা ওপেনার কেরিয়ারের শেষ দিকে পর্যাপ্ত সুযোগ পাননি। তাঁর শেষ টেস্ট ঘিরে দিল্লিতে বিতর্কও তৈরি হয়েছিল। বারেবারেই এরপরে শেওয়াগের আক্রমণের বিষয়বস্তু হয়েছেন। কিছুদিন আগেই আম্পায়ারকে শাসানোর পরিপ্রেক্ষিতে ধোনিকে বিঁধে আরও শাস্তির দাবি তুলেছিলেন তিনি। তারপরেই এমন মন্তব্য।
বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়েও শেওয়াগ জানিয়ে দিয়েছেন, "দেশের জন্য যা ভাল, সেটাই করা উচিত। যখন ভারত পাকিস্তান মুখোমুখি হয়, তখন সেটা যুদ্ধের থেকে কিছু কম নয়। সেই যুদ্ধে আমাদেরই জিততে হবে। কোনওভাবেই হারলে চলবে না।"