/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/06/Dhoni-sehwag.jpeg)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কিংবদন্তি সম মর্যাদার আসীন বীরেন্দ্র শেওয়াগ। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে শেওয়াগ দেশকে অফুরন্ত সাফল্য এনে দিয়েছেন। একবার জাতীয় দল থেকে বাদ পরেও প্রত্যাবর্তন করেছেন স্বমহিমায়। সব ফরম্যাট মিলিয়ে শেওয়াগ ১০৪ টেস্ট, ২৫১ ওয়ানডে এবং ১৯ টি২০ খেলেছেন। ধোনির নেতৃত্বে শেওয়াগ জোড়া ওয়ার্ল্ড কাপও জিতেছেন।
২০১১-য় ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ে অন্যতম বড় ভূমিকা ছিল নজফগড়ের নবাবের। তবে শচীন জোরাজুরি না করলে হয়ত বিশ্বকাপেই খেলা হত না শেওয়াগের। ক্রিকবাজের এক শো-য়ে শেওয়াগ জানিয়ে দিয়েছেন, ২০০৮-এ ধোনি তাঁকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়ার পরে অবসরের কথাও ভেবে ফেলেছিলেন একসময়।
বিষ্ফোরক এই ওপেনার টেস্টে দীর্ঘদিন খেলতে চেয়েছিলেন। তবে ওয়ানডেতে ধারাবাহিকতায় ভুগছিলেন। শেওয়াগ সেই অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে বলছিলেন, "২০০৮-এ অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় অবসরের চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। টেস্ট সিরিজে প্রত্যাবর্তন করেছিলাম ১৫০ হাঁকিয়ে। ওয়ানডেতে তিন-চার বারের প্রচেষ্টাতেও সেরকম রান করতে পারছিলাম না। এরপরে ধোনি প্ৰথম একাদশ থেকে আমাকে বাদ দেওয়ার পরে অবসর নেওয়ার ভাবনা শুরু করি। প্ল্যানিং ছিল স্রেফ টেস্ট খেলা চালিয়ে যাব।"
"সেই সময় শচীন আমাকে অবসর নেওয়া থেকে আটকান। ওঁর বুঝিয়েছিল, এটা আমার কেরিয়ারের একটা ব্যাড প্যাচ। 'অপেক্ষা করো। বাড়ি ফিরে ভালো করে ভাবনা চিন্তা করো। তারপরে পরবর্তী গন্তব্য ঠিক করো।' বলেছিলেন শচীন।"
এরপরে পুরোটাই ইতিহাস। দুর্দান্তভাবে প্রত্যাবর্তন করে দেশকে বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করেন। তবে ২০১২ থেকে জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। ২০১৩-য় শেষ ওয়ানডে খেলেন জানুয়ারিতে। সেই বছরেই মে মাসে শেষবারের মত টেস্টে খেলতে দেখা যায় মহাতারকাকে। এরপরে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের আশায় ঘরোয়া ক্রিকেটে নাম লেখান। তবে এর খেলা হয়নি আন্তর্জাতিক স্তরে। শেষমেশ ২০১৫-য় অবসর নিয়ে ফেলেন তিনি। আপাতত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে তাঁকে।