১ কোটি কিংবা ২ কোটি নয়! এক্কেবারে সাড়ে চার কোটি। এই বিশাল অঙ্কের টাকারই প্রতারণার শিকার বীরেন্দ্র শেওয়াগের স্ত্রী আরতি শেওয়াগ। যা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় রাজধানী শহর। শেওয়াগের স্ত্রী আপাতত সেই টাকার হদিশ পেতে দিল্লি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। জানা গিয়েছে, পুরো ঘটনায় অভিযুক্ত রোহিত কক্কর নামের এক ব্য়ক্তি। যাঁর সংস্থা আবার শেওয়াগের স্ত্রী ব্যবসায়িক পার্টনার।
রোহিতের সংস্থার অফিসটি বিহারে। আরতির অভিযোগ রীতিমতো ছক কষে, দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা কষেই ৪.৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন রোহিত। রোহিতের সঙ্গে এই প্রতারণায় যুক্ত ছিলেন আরও পাঁচ ব্যক্তি। যাঁরা সেই সংস্থাতেই কর্মরত। কীভাবে রোহিত কক্করের বিজনেস পার্টনার হলেন আরতি? সর্বভারতীয় প্রচারমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে রোহিতের সংস্থা বেআইনিভাবে শেওয়াগের স্ত্রী-র নাম ব্যবহার করেছিল। শেওয়াগের মতো মহাতারকা ক্রিকেটারের স্ত্রী-র নাম যে কোনও সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকলে, সেই সংস্থার ভাবমূর্তি ভাল হতে বাধ্য়! জনমানসে এই ধারণার বশবর্তী হতেই আরতির নাম যুক্ত করা হয়েছিল রোহিতের সংস্থার সঙ্গে।
আরও পড়ুন ভারতের হারে ভিলেন এই তিন জন! ছাঁটাই হওয়ার মুখে তাঁরা
ধোনিকে বেনজির অপমান যুবরাজের বাবা-র! বিস্ফোরক অভিযোগ মাহির বিপক্ষে
এরপরেই আসল কার্যসিদ্ধি করে রোহিত অ্যান্ড কোং! একটি সংস্থা থেকে সাড়ে চার কোটি টাকা ধার নিয়েছিল রোহিতের সংস্থা। ধার দেওয়ার নথিপত্রেই আরতির ভুঁয়ো সই ব্য়বহার করা হয়। ধার নেওয়ার পরেই সেই টাকা আর পরিশোধের আগ্রহ দেখায়নি রোহিতের সংস্থা। তারপরেই উঠে আসে আরতি শেওয়াগের নাম। তখন টনক নড়ে শেওয়াগের স্ত্রী-র। ঘটনা জানাজানি হতেই পুলিশের কাছে যান তিনি। কীভাবে বিনা অনুমতিতে তাঁর সই ব্যবহার করতে পারে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে রোহিত ও তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে ৪২০ ধারায় মামলা করেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হতে কড়া শাস্তি পাবে রোহিত। এমনটাই জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।