ভিভো সরে দাঁড়িয়েছে স্পনসরশিপ চুক্তি থেকে। তবে সাময়িক এই ধাক্কা মালুমই হবে না। এমনটাই বলছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
গালওয়ানে সীমান্তে সংঘাতের পরেই কেন্দ্রীয় সরকার ৫৯ টি চিনা এপ বাতিল করে আর্থিক প্রত্যঘাতের উদ্দেশ্যে। গোটা দেশ জুড়েই চিনা-বিরোধী মনোভাব একদমই প্রকট। তবে সীমান্তে যুদ্ধের আবহের মধ্যেই বোর্ডের তরফে জানানো হয়, ভিভো-র সঙ্গে টাইটেল স্পন্সরশিপ খতিয়ে দেখবে তারা। তারপর গত রবিবার আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকেই নিজেদের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ভিভোকে টাইটেল স্পনসর করেই এগোনো হবে টুর্নামেন্ট।
আরও পড়ুন
জনগণের চাপ নয়, বোর্ডের সঙ্গে ভিভোর বিচ্ছেদের পিছনে অন্য কারণ, ফাঁস হল
তারপরেই সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয় চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থাটি। কালবিলম্ব না করেই সরকারিভাবে সেকথা জানিয়ে দেয় বিসিসিআই। ভারতীয় কোনো স্পোর্টিং ইভেন্টে এমন পরিস্থিতি এবারই প্রথমবার ঘটল।
একটি প্রকাশনী সংস্থার ওয়েনমিনারে উপস্থিত হয়ে সৌরভ তারপর জানিয়ে দেন, "এতে কোনওরকম আর্থিক ক্ষতি হবে না। তবে এটা সাময়িক ধাক্কা।" বিসিসিআই যে যেকোনো রকম ধাক্কা সামলাতে প্রস্তুত, সেই বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
সৌরভের বক্তব্য, "বিসিসিআই একটি মজবুত সংস্থা। এই খেলা, ক্রিকেটাররা, প্রশাসন এতটাই মজবুত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে যে এসব রকম অনেক ধাক্কা সামলাতে তৈরি। অন্যান্য অপশন খোলা রাখতে হবে। অনেকটা প্ল্যান এ কাজ না করলে প্ল্যান বি কাজে লাগানোর মত।"
বিসিসিআই ব্র্যান্ড এসব সামলাতে পটু জানিয়ে মহারাজ আরো জানান, "এত বড় ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারার জন্য দীর্ঘদিন পেশাদারিভাবে সফল হতে হয়। ভবিষ্যতে ক্ষতি সামাল দেওয়ার লক্ষ্যেই দীর্ঘদিন ধরে শক্ত জমি তৈরি করে রাখতে হয়।"
২০১৮ সালে বার্ষিক ৪৪০ কোটি টাকার চুক্তিতে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে পাঁচ বছর টাইটেল স্পনসর হিসাবে সংযুক্ত হয় ভিভো।
Read the full article in ENGLISH
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন