বাংলার ক্রিকেটারদের জন্য অনলাইন ক্লাস চালু করে দিলেন মেন্টর ভিভিএস লক্ষ্মণ। মঙ্গলবার থেকে বাংলার ক্রিকেটারদের জন্য অভিনব এই ক্লাস চালু করলেন তিনি। প্রথম সেশনেই মানসিক কাঠিন্যের উপর বিশেষ জোর দেন তিনি।
গতবারের রঞ্জি রানার্স আপ দলের সঙ্গে লক্ষ্মণ ৪৫ মিনিট ক্লাস নেন। লক্ষ্মণের ক্লাসে হাজির ছিলেন অভিষেক রমন, কাজী জুনেদ সইফি, কোচ অরুনলাল, ম্যানেজার জয়দীপ মুখোপাধ্যায় এবং অনুর্দ্ধ-২৩ দলের কোচ সৌরাশিষ লাহিড়ী।
বাংলার তারকা ওপেনার অভিষেক রমনকে লক্ষ্মণ বোঝান কীভাবে ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সিএবি থেকে পাঠানো প্রেস বিবৃতিতে রমন জানান, "গত মরশুম নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। গোটা মরশুম জুড়ে আমার মাইন্ডসেট কেমন ছিল তা জানিয়েছি। পুরো সিজন জুড়ে সাফল্য ও ব্যর্থতার মধ্যে মাইন্ডসেট কেমন হওয়া প্রয়োজন তা নিয়ে কথা বলেছেন উনি।"
মরশুমের শুরুটা দুরন্ত করেছিল রমন। পরপর কেরালা ও অন্ধ্র-র বিপক্ষে সেঞ্চুরিও হাঁকান। তবে তারপর সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ১০ ম্যাচে ২৫.৩৭ গড় নিয়ে ৪০৬ রানে মরশুম শেষ করেন তিনি।
উঠতি তারকা কাজি দুটো ম্যাচ খেলেছিলেন। তাঁকে বোঝানো হয় কীভাবে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে সিনিয়র দলে রূপান্তর ঘটাতে হবে। কাজি পরে জানান, "ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ সেশন হল আজ। লক্ষ্মণ স্যার নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছিলেন। নার্ভাস হওয়া, সন্দেহ প্রকাশ করা এবং নিজের দক্ষতার উপর আস্থা প্রকাশ করা একদমই স্বাভাবিক এটাই বোঝালেন। উনি আরো বলেন, ক্রিকেট খেলা নিরন্তর শেখার বিষয়।"
নিজের ক্রিকেটারদের নিয়ে আরো অনলাইন ক্লাসের বন্দোবস্ত করবে সিএবি। সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া বলেন, "ঘরে থাকলেও আমাদের ক্রিকেটাররা ট্রেনারদের পরামর্শ মেনে চলছে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে মেন্টরদের অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গত মরশুমের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে ভুল ত্রুটি শুধরে নেওয়া হচ্ছে সেই ক্লাসে।"
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৩ বছর পর রঞ্জির ফাইনালে পৌঁছেছিল বাংলা। যদিও ফাইনালে সৌরাষ্ট্রের কাছে পরাস্ত হয় বাংলা।