নভেম্বরে টিম ইন্ডিয়ার কোচ করে আনা হয়েছে রাহুল দ্রাবিড়। রবি শাস্ত্রীর কোচিংয়ের মেয়াদ শেষের পরে দ্রাবিড় যে কোচ হয়ে আসছেন, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে নভেম্বরের প্ৰথম সপ্তাহে বিসিসিআই সেই খবর কনফার্ম করে।
দ্রাবিড় ২০১৫ সাল থেকে বোর্ডের সিস্টেমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দুবার জাতীয় দলে পার্ট টাইম ভিত্তিতে কাজ করেছেন। সৌরভ আবার পরে জানিয়েছিলেন, দ্রাবিড় মোটেই টিম ইন্ডিয়ার কোচ হতে আগ্রহী ছিলেন না। পরে আইপিএল চলাকালীন দ্রাবিড়কে রাজি করান সৌরভ-শাহ।
আরও পড়ুন: দাদা বনাম কোহলি বিতর্কের মধ্যেই ইঙ্গিতপূর্ণ জাদেজা! কাকে ‘বন্ধু’ বললেন সরাসরি
বোরিয়া মজুমদারের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সৌরভ সম্প্রতি বলেছেন, "দ্রাবিড়কে টিম ইন্ডিয়ার কোচ হিসাবে বহুদিন আমার ভাবনায় ছিল। তবে বাড়ির বাইরে টানা কাটাতে হবে, এমনটা চিন্তা করে দ্রাবিড় মোটেই কোচ হতে চাইছিল না। কারণ টিম ইন্ডিয়ার কোচ হওয়ার অর্থ বছরের ৮-৯ মাসই দেশের বাইরে কাটাতে হবে। তাছাড়া ওঁর দুটো বাচ্চাও রয়েছে।"
সেই সাক্ষাৎকারে বড়সড় ঘটনা ফাঁস করে সৌরভ জানিয়েছেন, টিম ইন্ডিয়ার কোচ হতে বরং আগ্রহী ছিলেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবসরের পরে মহাতারকা পার্ট টাইম ভিত্তিতে কোচিং চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
সৌরভ জানিয়েছেন, "লক্ষ্মণ টিম ইন্ডিয়ার কোচ হতে ইচ্ছুক ছিল। তবে সেটা সম্ভব হয়নি। তবে ভবিষ্যতে ওঁকে কোচ হিসেবে দেখা যেতেই পারে।"
জাতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্ব না পেলেও লক্ষ্মণ এনসিএ-র প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। টিম ইন্ডিয়ার আঁতুরঘর বলা হয় বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিকে। ২০১৯-২০২১ পর্যন্ত দ্রাবিড় সাফল্যের সঙ্গে এতদিন কাজ করেছেন এনসিএ-তে। এবার দ্রাবিড়ের আসনে লক্ষ্মণের হাতেই নতুন তারকা গড়ে তোলার দায়িত্ব দিয়েছেন সৌরভ।
তবে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ এড়ানোর জন্য লক্ষ্মণকে ধারাভাষ্যকারের কাজ ছাড়তে হবে। সেই সঙ্গে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মেন্টর হিসাবেও পদত্যাগ করতে হবে। টেস্টে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী লক্ষ্মণকে অদূর ভবিষ্যতে জাতীয় দলের কোচের পদে দেখা যাবে কিনা, সময়ই বলবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন