বোর্ডের এজিএম-এর ঠিক ২৪ ঘন্টা আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত অনুরোধের সুরে প্রধানমন্ত্রীট কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন, যাতে আইসিসি চেয়ারম্যান পদের জন্য বোর্ড সমর্থন করে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তবে অনুরোধ-উপরোধই সার।
মঙ্গলবার ভর দুপুরে বোর্ডের তরফে কার্যত স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হল বর্তমান আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলের উপরেই পূর্ণ সমর্থন রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে কোনওভাবেই আইসিসিতে এন্ডোর্স করবে না বোর্ড।
আরও পড়ুন: সৌরভের অপসারণেও অন্য সমীকরণ! BJP অধ্যুষিত বোর্ডে সবথেকে প্রভাবশালী কংগ্রেসের এই সাংসদ
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে আগেই বলা হয়েছিল, আইসিসিতে সৌরভকে ব্যাক করবে না বিসিসিআই। দেখার ছিল বোর্ডের প্রতিনিধি হিসাবে আইসিসিতে কাকে পাঠানো হয়। প্রত্যাশা মতই জয় শাহই বিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি হিসাবে আইসিসি বৈঠকে হাজির থাকবেন। সেই সঙ্গে আইসিসি চেয়ারম্যান পদে গ্রেগ বার্কলেকে দ্বিতীয় টার্মে সমর্থন করবে ভারতীয় বোর্ড।
আরও পড়ুন: সৌরভ সরতেই ৯৫৬ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে BCCI! ‘মাথার চুল ছেঁড়ার জোগাড়’ জয় শাহদের
বোর্ডে নির্বাচনের আবহে সোমবার বিরাট বার্তায় দেশের রাজনীতি টলিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি সৌরভের পাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তিনি অনুরোধ করেন, যাতে সৌরভকে আইসিসি চেয়ারম্যান করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাকিং করে বিসিসিআই। ঘটনা যাই হোক, প্রত্যাশা মতই মঙ্গলবার বোর্ডের এজিএম-এ বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় প্রেসিডেন্ট হলেন ১৯৮৩-র প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন রজার বিনি।
আরও পড়ুন: এই ৫ কীর্তিতেই বোর্ডে ‘অমর’ প্রেসিডেন্ট সৌরভ! কুৎসা করেও ঢাকা যাবে না এই হিসেব
গত সপ্তাহ দেড়েক ধরেই বোর্ডে সৌরভের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় লেগে গিয়েছে রাজনীতির রং। শুধু তৃণমূলই নয়, সৌরভের প্রস্থানের সমালোচনায় সরব হয়েছে কংগ্রেস, সিপিএমের মত রাজনৈতিক দলও।
গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে সৌরভের বিজেপিতে যোগদান ঘিরে ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। রটে গিয়েছিল, সৌরভ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। সৌরভের ঘনিষ্ট বৃত্ত থেকে বলা হয়, তুমুল রাজনৈতিক চাপের মুখে সৌরভ শেষমেশ রাজনীতির অন্দরেই পা রাখেননি। গত মে মাসে সৌরভের বাসভবনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নৈশহারের পরে নতুন করে রাজনৈতিক গুঞ্জন শুরু হয়েছিল।