মঙ্গলবার যুবভারতীতে উত্তেজক লড়াই। একদিকে ভারত। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ পড়শি দেশ বাংলাদেশ। ফিফা বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। সুনীল ছেত্রীদের বিপক্ষে ম্যাচে নামার আগে জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশ টিম প্রোফাইল
বাংলাদেশ
ফিফা ক্রমতালিকা: ১৮৭
ডাকনাম: দ্য বেঙ্গল টাইগার
শেষ ম্যাচ: কাতারের বিপক্ষে ১০ অক্টোবর। বাংলাদেশ হার মানে ০-২ ব্যবধানে
কোচ: জেমি ডে
টিম প্রোফাইল
ক্রিকেটে সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ ক্রমশ উন্নতি করলেও ফুটবলে বরাবরই পিছিয়ে। সবসময়েই ক্রমতালিকায় ১৫০-র নিচে রয়েছে বাংলাদেশ। ক্রমতালিকায় খুব অল্প সময়ের জন্য ২০০৬ ও ২০০৯ সালে বাংলাদেশ যথাক্রমে ১৪৪ ও ১৪৯ নম্বরে উঠে এসেছিল। দলের সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স দেখা যায় বেলজিয়ান কোচ টম সেইন্টফিয়েটের কোচিংয়ে। ২০১৬-২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্রমতালিকায় ডাবল সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। তাছাড়া দেশের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স ছিল এশিয়ান কাপের কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে। ঘরের মাঠে ভুটানের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করার পরে অ্যাওয়ে ম্যাচে খেলতে গিয়ে ড্র্যাগন বাহিনীর কাছে ০-৩ গোলে লজ্জাজনক পরাজয় হজম করতে হয় তাদের।
২০১৭ সালে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন নিয়োগ করে ব্রিটিশ-অস্ট্রেলিয়ান কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ডকে। ওর্ডের কোচিংয়ে বেশ কিছু তরুণ ফুটবলারকে জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়া হয়। এর পরে ২০১৮-র মে মাসে ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে-কে নিয়োগ করে বাংলাদেশ। জেমির কোচিংয়ে বাংলাদেশ লাওসকে হারিয়ে কোয়ালিফিকেশনের দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছয়।
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স
জেমি ডে-র কোচিংয়ে বাংলাদেশ অতীতের তুলনায় কিছুটা হলেও উন্নতি করেছে। চলতি ক্যালেন্ডার বর্ষে বাংলাদেশ ডে-র কোচিংয়ে ৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে চারটি ম্যাচে জিতলেও ড্র এবং হারের সংখ্যা যথাক্রমে ১ ও ২।
আরও পড়ুন: FIFA WCQ: ‘সিটি অফ জয়’তে এসে গুরপ্রীত সিং সান্ধুর জীবনের বৃত্ত সম্পূর্ণ হল
মুখোমুখি পরিসংখ্যান
বাংলাদেশের বিপক্ষে ফুটবল মাঠে ভারতের পারফরম্যান্স বরাবরই উন্নত। পরিসংখ্যান বলছে, দুই প্রতিবেশী দল ২৮ বার পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে ভারত ১৫ বারই জয় পেয়েছে। ১১টি ম্যাচ অমীমাংসিত থেকেছে। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের সংখ্যা মাত্র দুু'টি। শেষবার বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছিল ১৯৯৯ সালে সাফ কাপে। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ১-০ গোলে হারায় ভারতকে। শেষ দু'বারের সাক্ষাতের ফলাফল যথাক্রমে ১-১ ও ২-২।
টিম কম্বিনেশন
আর্সেন ওয়েঙ্গারের কোচিংয়ে আর্সেনালে খেলা জেমি ডে বাংলাদেশ দলকে টিপিক্যাল ৪-৪-২ ছকে খেলান। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে থাকেন দলের সেরা ফুটবলার জামাল ভুইঞাঁ।
আরও পড়ুন: FIFA WCQ: ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ ৫০-৫০, বলছেন মামুনুল
নজর থাকবে যে দুই ফুটবলারের ওপর
১) জামাল ভুইঞাঁ: জন্ম ও বেড়ে ওঠা ডেনমার্কে। বাংলাদেশ স্কোয়াডে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার নিরিখে জামাল দ্বিতীয়। এফসি কোপেনহেগেন ইয়ুথ প্রোডাক্ট জামাল দেশে ফিরে আসেন ২০১৩ সালে। দেশে ফিরে এখনও পর্যন্ত তিন ক্লাবের জার্সিতে খেলতে দেখা গিয়েছে জামালকে - শেখ জামাল ধানমণ্ডী, সঈফ স্পোর্টিং এবং শেখ রাসেল। এশিয়ান গেমসে গত বছর অনুর্ধ্ব ২৩ দলের সদস্য হিসেবে জামাল কাতারের বিরুদ্ধে গোল করে দলকে শেষ ষোলোয় পৌঁছতে সাহায্য করেন।
২) মামুনুল ইসলাম: ৩০ বছরের মামুনুল বাংলাদেশের জার্সিতে বর্তমান স্কোয়াডের সবচেয়ে অভিজ্ঞ সদস্য। ৬০ বার দেশের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন তিনি। অপেক্ষাকৃত তরুণ দলে মামুনুলই একমাত্র সদস্য যাঁর বয়স ৩০-এর ওপরে। ভারতে এর আগে দু'বার খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে মামুনুলের। ২০১৪ সালে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের উদ্বোধনী সংস্করণে এটিকে সই করিয়েছিল মামুনুলকে। যদিও কোচ হাবাস একটিও ম্যাচে খেলান নি বাংলাদেশের তারকা ফুটবলারকে। তার আগের বছরেই কলকাতায় আইএফএ শিল্ডে খেলতে এসেছিলেন তিনি ধানমণ্ডী ক্লাবের হয়ে। ফাইনালে যদিও ধানমণ্ডী মহামেডানের কাছে হেরে যায় পেনাল্টি শুট-আউটে।