৮০ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও হার। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে প্রথম ম্যাচেই ভারতের অনভিজ্ঞতা প্রকট হয়ে গিয়েছে। হার হজম হচ্ছে না কোনও ভারতীয়র-ই। হারের পরে ছেত্রীদের কোচ ইগর স্টিম্যাচ বিষন্ন গলায় জানিয়ে দিচ্ছেন, "আমরা প্রত্যেকেই হতাশ। এই ম্যাচে আমরা অনেক প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়েছিলাম। প্রথমার্ধেই ওমানি দলকে শাস্তি দেওয়া যেত। বিরতির আগেই খেলা খতম করার দরকার ছিল। তবে ভাগ্য আমাদের সহায় হয়নি।"
ফুটবল মহলের ধারনা সুনীল ছেত্রীর উপরে অতিরিক্ত ভরসা এবং অনভিজ্ঞতাতেই ওমানকে বাগে পেয়েও হারাতে পারেনি ভারত। পাশাপাশি উদান্তা সিংয়ের শট ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হওয়া, সন্দেশ জিংঘানের হেডার মিস করা- সেই দুর্ভাগ্যের অংশ। প্রথমার্ধে ভারত প্রাধান্য নিয়ে খেললেও দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় ভারত। ভারতের ক্রোট কোচ অতিরিক্ত সুনীল-নির্ভরতা নিয়ে বলছেন, "প্রত্যেকেই দেখেছে, আমাদের গোল সুনীলই করে। তবে প্রত্য়েকবার সুনীলের পক্ষে গোল করা সম্ভব নয়।"
বর্তমানে ফিফার ক্রমতালিকায় ১০৩ নম্বরে রয়েছে ভারত। এখনও বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলা অধরা জাতীয় দলের। যাইহোক, স্টিম্যাচ বলছেন, শেষ ২০ মিনিট বাদ দিলে তিনি দলের খেলায় সন্তুষ্ট। "আমাদের খেলায় ভুল একটাই ছিল থ্রু বল জোরে তাড়া করে তা প্রতিপক্ষের কাছে হারিয়ে ফেলা। যখন কোনও দল ম্যাচ লিড নিয়ে থাকে, তখন নিজেদের মধ্যে পাসিং ফুটবল খেলে যেতে হয়। প্রতিপক্ষকে হতোদ্যম করার জন্য।" এমনটা জানিয়ে স্টিম্যাচের সংযোজন, "পুরোটাই অভিজ্ঞতার বিষয়। আমাদের ফুটবলাররা প্রতিপক্ষের তুলনাতেও বেশি ফিট ছিল। তবে ওরা অভিজ্ঞতায় আমাদের থেকে এগিয়ে ছিল।"
কোয়ালিফায়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই এশীয় চ্যাম্পিয়ন কাতারের মুখোমুখি ভারত। তবে প্রতিপক্ষের নাম শুনে দমছে না স্টিম্যাচ-ব্রিগেড। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়াকে শেষ চারে তোলা কোচ বলছেন, "কাতার ম্যাচ মোটেই সহজ হবে না। প্রত্যেকেই এটা জানি। কাতার ম্যাচ আলাদা। সবথেকে শক্তিশালী দলের মুখোমুখি হতে হবে আমাদের।" সেই ম্যাচে বদলের ইঙ্গিত দিয়ে রাখছেন কোচ স্টিম্যাচ। জানাচ্ছেন, "ওই ম্যাচে কমপক্ষে ৪-৫টি পজিশনে অদল বদল হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। ভাল ফুটবল খেলে গোল করাই আমাদের লক্ষ্য থাকবে।"
Read the full article in ENGLISH