করোনার প্রকোপে ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিশ্রামে উপকৃতই হবে ভারতীয় ক্রিকেটাররা। এমনটাই মনে করছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী। গত বিশ্বকাপে খেলার পর থেকে জাতীয় দলের সঙ্গে দেশে বিদেশে সফর করেছেন শাস্ত্রী। তিনি গোটা বছরে পরিবারের সঙ্গে মেরেকেটে ১০-১২ দিন কাটিয়েছেন। তবে এখন অবশ্য চুটিয়ে সময় কাটাচ্ছেন পরিবারের সঙ্গে।
নভেল করোনা ভাইরাস বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ায় ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক সূচি হয় পিছিয়ে নাহয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শাস্ত্রী অবশ্য এই ছুটির সদর্থক দিক ই দেখছেন। বলে দিয়েছেন, "এই ব্রেকে ভারতীয় দলের উপকার ই হয়েছে। দেখতে পাওয়াই যাচ্ছিল নিউজিল্যান্ড সফরের শেষ দিকে দলের বেশ কিছু ফুটো ফাটা প্রকট হয়ে পড়ছিল।" স্কাই স্পোর্টসের পডকাস্ট এ শাস্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করছিলেন মাইক আথারটন, নাসির হুসেন ও রব কি।
কঠিন কিউয়ি সফরের পরে এই বিরতি ভারতীয় ক্রিকেটারদের নতুন করে উজ্জীবিত করে তুলবে, এমনটাই মনে করছেন শাস্ত্রী।
তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, "শেষ দশ মাসে আমরা যত ক্রিকেট খেলেছি তা আমাদের শরীরে প্রভাব ফেলছিল। আমি এবং দলের বেশ কিছু সাপোর্ট স্টাফ বিশ্বকাপ খেলতে মে মাসের ২৩ তারিখে বেরিয়েছিলাম। তারপর থেকে গোটা বছরে পরিবারের সঙ্গে মাত্র ১০-১২ দিন কাটিয়েছি। দলের এমন কিছু ক্রিকেটার রয়েছে যারা তিন ফরম্যাটেই খেলে। এদের শরীরের উপর দিয়ে কি পরিমান ধকল গেছে, তা অনুমান করা যায়। এই বিশ্রাম কঠিন তবে এটা ওয়েলকাম রেস্ট।"
বিশ্বে যে বড়সড় কোনো বিষয় প্রভাব ফেলবে তা আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছিল টিম ইন্ডিয়া। এমনটাই জানাচ্ছেন শাস্ত্রী। তিনি বলে দিয়েছেন, "এটা প্রত্যেকের কাছে একটা শক ছিল। তবে এটা আগে থেকেই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম। রোগ যখন সবে মাত্র ছড়াতে শুরু করে তখন ই শুরু। দ্বিতীয় ওয়ানডে যখন স্থগিত করে দেওয়া হয় তখনই বোঝা গেছিলো লক ডাউন করা হতে পারে।"
করোনার প্রকোপে নাকাল বিশ্ববাসী। বিশ্বের লাখো লাখো লোক আক্রান্ত হয়েছেন মারণ ভাইরাসে। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার লোক মারা গিয়েছেন করোনায়। গত বছরের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে এই ভাইরাস প্রথমে ছড়িয়ে পড়ে। তারপর আপাতত গোটা বিশ্বেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই রোগ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
শাস্ত্রী নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে বলেছেন, "নিউজিল্যান্ড সফরের শেষ দিকের ঘটনা। সেই সময় সিঙ্গাপুর এড়িয়ে ফ্লাইট আসছিল। ভারতে যেদিন আমরা প্রথম নামলাম সেদিন ই এয়ারপোর্টে স্ক্রিনিং হচ্ছিল। আমরা একদম শেষ মুহূর্তে দেশে পৌঁছে ছিলাম।"
সংকটকালে ক্রিকেটার রা আপাতত ক্রিকেট নিয়েই ভাবছেন না। বলছেন শাস্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, "ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। এই মুহূর্তে নিরাপত্তাই আমাদের কাছে প্রাধান্য পাবে। ক্রিকেট নয়।"