ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ সফর খেলতে সেদেশ সফররত ইংল্যান্ড। গত জানুয়ারিতে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে শুভারম্ভ হয়েছিল। শুরুতেই উইন্ডিজ ২-১ জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। এরপর ওয়ান-ডে সিরিজ ড্র হয়ে যায়।
এখন চলছে টি-২০ সিরিজ। গত মঙ্গলবার চার উইকেটে জিতেই তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে গিয়েছিল ব্রিটিশরা। গত শুক্রবার দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচ জিতেই সিরিজ পকেটস্থ করল ইংল্যান্ড। আর এই ম্যাচে আয়োজক দেশকে তারা ১৩৭ রানে হারিয়েছে। এর সঙ্গেই লজ্জার পরিসংখ্যানে নাম লিখিয়েছে মেন ইন মেরুন।
আরও পড়ুন: ৪৬টি ছয় ও ৮০৭ রান, গেইল ঝড়ে বাইশ গজ দেখল মাইলস্টোনের ম্য়াচ
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে জেসন হোল্ডার টস জিতে ইয়ন মর্গ্যানদের ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন। জো রুট (৪০ বলে ৫৫) আর স্যাম বিলিংসের (৪৭ বলে ৮৭) ব্যাটে ভর করে ইংল্যান্ড ছ'উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ওভারে ১৮২ রান তোলে। টি-২০ ফর্ম্যাটের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এই রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪৫ রানে গুটিয়ে যায়। ১১.৫ ওভার খেলেছিল তারা। ইংল্যান্ড জেতে ১৩৭ রানে। ক্রিস জর্ডন একাই তুলে নেন চার উইকেট।
হোল্ডারের দল নেদারল্যান্ডের থেকে মাত্র ৬ রান বেশি করেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে নেদারল্যান্ডস শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩৯ রান করেছিল ২০১৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে। সেবার চট্টগ্রামে ১০.৩ ওভারে নেদারল্যান্ডস এই রান তুলেছিল। দ্বীপরাষ্ট্র পাঁচ ওভারেই ৯ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয়।
কোনও টেস্ট খেলিয়ে দেশ টি-২০ ক্রিকেটে এর আগে এত কম রান করেনি। যেটা হোল্ডারের দল করল। আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে এটাই দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। নেপাল থাকবে তিনে। ২০১৫ সালে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৪.৩ ওভারে ৫৩ রান করেছিল তারা। ২০১৩ সালে কেনিয়া ৫৬ রান করেছিল আফগানিস্তানের সঙ্গে। ২০১৪ টি-২০ বিশ্বকাপেই নিউজিল্যান্ড ১৫.৩ ওভারে ৬০ রান করেছিল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। চট্টগ্রামে হয়েছিল সেই ম্যাচও।