স্কটল্যান্ডের কাছে ৭ উইকেটে হেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভারতে আয়োজিত হতে চলা বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন একদম শেষ হয়ে গেল। কোয়ালিফায়ারে সুপার সিক্স পর্বে স্কটল্যান্ডের কাছে জিতলে ক্যারিবিয়ানদের মূলপর্বে ওঠার আশা বেঁচে থাকত। তবে হেরে ভারতে আর খেলতে আসা হচ্ছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
এই প্ৰথমবার বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলতে দেখা যাবে না ১৯৭৫ এবং ১৯৭৯-র চ্যাম্পিয়নদের। এবার বিশ্বের সেরা দশ ওয়ানডে দলের মধ্যে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
স্কটিশদের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে পুরো পঞ্চাশ ওভারও টিকতে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। ৪৩.৫ ওভারে মাত্র ১৮১ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জেসন হোল্ডার (৪৫) এবং রোমারিও শেফার্ড (৩৬) বাদে কোনও ক্যারিবীয় তারকা ব্যাট হাতে নূন্যতম প্রতিরোধও গড়ে তুলতে পারেননি। সেই টার্গেট স্কটল্যান্ড চেজ করল ৪৩.৩ ওভারে। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে। ম্যাথু ক্রস (৭৪) এবং ব্রেন্ডন ম্যাকুলেন (৬৯) ব্যাট হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাগ্য গড়ে দেন। এই প্ৰথমবার ওয়ানডেতে স্কটল্যান্ড হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
নেদারল্যান্ডস এবং জিম্বাবোয়ের কাছে গ্রুপ-এ'তে হেরে বসার পর কার্যত বিশ্বকাপের মূলপর্বে ওঠার দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছিল ক্যারিবিয়ানরা। বাকি ম্যাচের ওপরে নির্ভর করে থাকতে হচ্ছিল ক্যারিবীয়দের। শনিবারের হার ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাগ্যের ওপর চূড়ান্ত সিলমোহর ফেলে দিল।
কোনও পয়েন্ট না নিয়েই সুপার সিক্সে খেলতে নেমেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নেট রানরেটেও বাকিদের থেকে পিছিয়ে ছিল সাই হোপরা।
গ্রুপ পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ চার পয়েন্ট অর্জন করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং নেপালকে হারিয়ে। তবে দ্রুতই ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় দু-বারের চ্যাম্পিয়নদের। জিম্বাবোয়ে এবং নেদারল্যান্ডসের কাছে হারের পর পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। সুপার সিক্সে অংশগ্রহণকারী কোনও দলকে না হারানোয় শূন্য পয়েন্ট নিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করতে নেমেছিল দুবারের বিশ্বজয়ীরা।
গত দুই দশক ধরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট পরিস্থিতির ভয়ানক অবক্ষয় ঘটেছে। শনিবারের হার ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটে যেন শেষ পেরেক পুঁতে দিল। গত দশকে দু-বার টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে ক্রিকেটের প্রথাগত দুই ফরম্যাটে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
ঘটনাচক্রে ২০১৯-এও কোয়ালিফায়ারে খেলতে হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। তবে সেবার আফগানিস্তানের সঙ্গে মূলপর্বে কোয়ালিফাই করে কোনওরকমে মানরক্ষা করে ক্যারিবিয়ানরা। এবার আর সেটা হল না।
Read the full article in ENGLISH