ইডেনের ক্রিকেট মিউজিয়ামে এবার ঠাঁই পেতে চলেছে এভার্টন উইকসের মূর্তি। এমনটাই জানানো হলে সিএবির তরফ থেকে।
সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া এদিন জানান, "আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এভার্টন উইকস একজন কিংবদন্তি। ক্রিকেট বিশ্বে ওঁর অভাব অনুভূত হবে। উনি কলকাতায় বিশেষভাবে স্মরণীয়। কারণ ইডেনে প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি তিনিই হাকিয়েছিলেন।"
এর পরেই তিনি জানান, "আমরা ঠিক করেছি আমাদের মিউজিয়ামে ওঁর নাম সুস্পষ্টভাবে লেখা হবে। অতিমারীর ধাক্কা কেটে গেলেই এই কাজ শুরু হবে।"
সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, "এভার্টন উইকসের মত প্রতিভা খুব কম আসেন। কলকাতার মানুষ ভাগ্যবান যে ওঁর মত একজন ক্রীড়াব্যক্তিত্ব এর খেলা স্বচক্ষে দেখেছে। আমার দাদুর থেকে ওঁর অনেক নাম শুনেছি। আমাদের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী সভায় ওঁর অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করা হবে। আমরা মন্টু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদানও স্মরণ করব, যিনি ওই ম্যাচে পাঁচ উইকেই নিয়েছিলেন।"
স্বাধীন ভারতে প্রথম বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ইডেনে দুই ইনিংসে এভার্টন উইকস করে যান যথাক্রমে ১৬২ ও ১০১ রান। সুধাংশু মন্টু বন্দ্যোপাধ্যায় কেরিয়ারে ওই একটি মাত্র ম্যাচই খেলেছিলেন। সেই ম্যাচেই পাঁচ উইকেট তাঁর নামের পাশে।
তিন 'ডব্লিউ' ক্লায়েড ওয়ালকট এবং ফ্রাঙ্ক ওরেল আগেই চলে গিয়েছিলেন। এবার মৃত্যু শেষ কিংবদন্তিরও। ওয়ালকট, ওরেল এবং উইকস- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বক্রিকেট শাসন করেছিলেন। ত্রিমূর্তির মধ্যে উইকস-ই ছিলেন সেরা ব্যাটসম্যান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে ৪৮ টি টেস্ট খেলেছেন। অবিশ্বাস্য ৫৮.৬২ গড় নিয়ে ৪৪৫৫ রান করেন। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৮- দশ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫টি শতরান হাঁকিয়েছেন তিনি। সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রোক প্লেয়ার হিসাবে মানা হয় তাঁকে।
শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই নয়, উইকস-এর দুর্ধর্ষ ব্যাটিংয়ের সাক্ষী থেকেছে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও। ৫৫.৩৪ গড় নিয়ে ১২,০১০ রান করেছেন তিনি ৩৬টা শতরান সমেত। সর্বোচ্চ স্কোর ৩০৪ নট আউট।