শ্রী সিমেন্টের কাছ থেকে বিচ্ছেদের পরে স্পোর্টিং রাইটস ফেরত পেয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। দল গঠনও জোর কদমে চালু করে দিয়েছে লাল হলুদ শিবির। দুটো পৃথক পৃথক দল গড়া হচ্ছে। শিল্ড, কলকাতা লিগে খেলার জন্য যেমন আলাদা দল গড়ার ভাবনা রয়েছে। তেমনই আইএসএল-এর জন্য আলাদা হেভিওয়েট দল।
কিন্তু সমর্থকরা চাতকের পাখির মত অপেক্ষায় ক্লাবে নতুন বিনিয়োগকারীদের আগমনের জন্য। ফেব্রুয়ারিতে ক্লাবে ঘটা করে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের বসুন্ধরা গ্রুপের শীর্ষ কর্তা মহম্মদ সায়েদ সোবহান আনভীরকে। নতুন সম্পর্কের জল্পনার জন্ম দিয়ে আনভীর জানিয়ে দিয়েছিলেন, "দুই বাংলার ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ আরও কাছাকাছি আসুক।"
আরও পড়ুন: বাবা-মা’কে আর কাজে বেরোতে দেবেন না! সরকারি চাকরি পেয়েই ঠিক করলেন মনোতোষ
তবে মার্চ, এপ্রিল পেরিয়ে মে মাসের মাঝামাঝি এসেও বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে ক্লাবের আনুষ্ঠানিক সংযুক্তির কথা ঘোষণা করা হয়নি। এর মধ্যে ক্লাবের শীর্ষস্থানীয় কর্তারা বাংলাদেশে গিয়ে একপ্রস্থ আলোচনাও সেরে এসেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে।
তাহলেও এই বিলম্ব কেন? সূত্রের খবর, বসুন্ধরা গ্রুপ এবং ইস্টবেঙ্গল দুই তরফই যোগসূত্র স্থাপনে আগ্রহী। তবে বাঁধ সেধেছে অন্য ঘটনা। এই মুহূর্তে বসুন্ধরা গ্রুপের ভারতে অন্য কোনওভাবে লগ্নি নেই। বাংলাদেশের কোনও সংস্থার বিদেশে বিনিয়োগ করার আগে বাংলাদেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকের ছাড়পত্রের প্রয়োজন। ইস্টবেঙ্গলে বিনিয়োগ করলেও সেই ব্যাংকের সবুজ সঙ্কেত দরকার। সেখানেই আপাতত পুরো বিষয়টি আটকে রয়েছে। যদিও বসুন্ধরা গ্রুপের কর্তা আনভীর লাল হলুদ কর্তাদের আশ্বস্ত করেছেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিষয়টির সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হবেন।
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গল অফার প্রত্যাখ্যান ISL স্বপ্নে শান দিতে! বড় দলের ডাকের অপেক্ষায় রাজমিস্ত্রি-পুত্র মনোতোষ
তবে জানা যাচ্ছে, বসুন্ধরার পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল বেশ কিছু সংস্থার সঙ্গে সমান্তরালভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিনিয়োগের বিষয়ে। যদিও কোনও আলোচনাই এখনও চূড়ান্ত স্তরে পৌঁছয়নি। বিনিয়োগকারী চূড়ান্ত হতে দেরি হলে, দল গঠন যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, সেই জন্যই আগেভাবে ফুটবলারদের সঙ্গে প্রি-কন্ট্র্যাক্ট করে রাখছে লাল হলুদ শিবির। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীর সন্ধান এবং দল গঠন চলছে সমান্তরালভাবে।