ভারতকে হ্যামিলটনে চতুর্থ এক দিনের ম্যাচে ৯২ রানে বান্ডিল করে দেওয়ার পিছনে দায়ী বাঁহাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্টের ইন সুইং বোলিং।
রোহিত শর্মা, শুভমান গিল এবং আম্বাতি রায়াডু- এঁরা সকলেই আউট হয়েছেন বাঁহাতি পেসারের সবচেয়ে ধারালো অস্ত্রে। ওয়াসিম আক্রমের বোলিং মনে পড়ে? ওভার দ্য উইকটে মিসাইল গতিতে ডানহাতি ব্যাটসম্যানের দিকে ছুটে আসা বল, যেগুলো মনে হত যেন স্লিপ কর্ডনের দিকে চলে যাচ্ছে, তারপর হঠাৎই বাঁক খেয়ে মিডল স্টাম্পের দিকে ধেয়ে আসত! সে বলগুলো অবধারিতভাবে হয় ব্যাটসম্যানের পায়ে লাগত, নয়ত আছড়ে পড়ত স্টাম্পের উপর।
প্রথম তিনটি একদিনের ম্যাচে নেহাৎই ভোঁতা বোলিং করেছিলেন বোল্ট। অবশেষে নদীর ধারে অবস্থিত সেডন পার্কে আক্রম-মাফিক সুইংয়ের হদিশ পেলেন তিনি। হ্যামিলটনের ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রা, উজ্জ্বল রোদ এবং প্রচুর আর্দ্রতা, এ সবই বাতাসে সাদা বলের নড়াচড়ার পক্ষে ছিল অনুকূল।
আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করে দিয়েছে মাঠের তাপমাত্রা বাতাসে সুইংয়ে সাহায্য করে। এবং বোল্টের মত লেটসুইং পেতে অভ্যস্ত এক্সপ্রেস গতির বোলারের সামনে ব্যাটসম্যানরা যথেষ্ট অসুবিধার মুখে পড়েছেন। এবং একইসঙ্গে বোল্ট দারুণ একটা গুড লেংথ স্পটও বেছে নিয়েছিলেন, যাতে বল পড়েছে ব্যাটসম্যানের প্যাডের কাছে- যাকে পরিভাষায় বলে ব্যাটসম্যানের ব্লাইন্ড স্পট।
বোল্টের বল খেলার সময়ে ভারতীয় ব্যটসম্যানদের আরেকটা সমস্যাও হয়েছে, সেডন পার্কের পিচের অতিরিক্ত বাউন্স। প্রথমে তো রোহিত শর্মা বোল্টের ইন সুইঙ্গার খেলার মত জায়গা খুঁজে পেলেন না। অতিরিক্ত বাউন্সের ফলে বল লাগল ব্যাটের উপর দিকে, বেলুনের মত সে বল ফিরে গেল বোল্টের দিকে। একই ধরনের বলে একই ধরনের ভুল করেছেন শুভমান গিলও।
রাায়ডু তো সুইং বুঝতেই পারেননি। ব্যাট যথাসময়ে না নামাতে পেরে এলবিডবলিউ হন তিনি। বোল্টের স্পেল মনে করিয়ে দিল সুইং সুলতান যদি ঠিক মত কাজ করতে পারেন তাহলে বিশ্ব শ্রেষ্ঠ ব্যাটিং লাইনআপকেও সমস্যার মুখে পড়তে হয়।
Read the Full Story in English