/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/04/irrfan-khan-angrezi-medium-759.jpg)
বলিউড ও হলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা ইরফান খান বুধবারই মুম্বইয়ের বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিশ্বসিনেমা তো বটেই দেশের ক্রীড়া মহলেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে অভিনেতার আকস্মিক প্রয়াণে।
ভারতীয় অভিনেতা হিসাবে হলিউডে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন একাধিক সিনেমায় অভিনয় করে। অস্কার প্রাপ্ত লাইফ অফ পাই, ইনফারনো সহ একাধিক সিনেমায় চুটিয়ে অভিনয় করেছিলেন।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই কোলোনে সংক্রমণ নিয়ে মুম্বইয়ের হসপিটালে ভর্তি হয়েছিলেন। বুধবারই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। লড়াই চালিয়েও শেষ পর্যন্ত হার মানেন মৃত্যুর কাছে।
অনেকেই জানেন না অভিনেতা নয়, ইরফানের স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হয়ে ওঠা। তবে সেই স্বপ্ন সফল হয়নি মাত্র ৬০০টাকার জন্য। আশ্চর্য মনে হলেও, এমনটাই সত্যি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সূচনা লগ্ন যাকে ধরা হয় সেই সিকে নাইডু ট্রফিতে অংশ নেওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল ৬০০ টাকা। তবে সেই টাকা জোগাড় করতে পারেননি তিনি।
টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া-র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ইরফান খান বলেছিলেন, "ক্রিকেট খেলে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। আমি ছিলাম অলরাউন্ডার এবং জয়পুর দলে আমিই ছিলাম সর্বকনিষ্ঠ। সিকে নাইডু ট্রফিতে নির্বাচিতও হয়েছিলাম। তবে সেই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য ৬০০ টাকা দরকার ছিল। জানতাম না কার কাছে টাকার জন্য হাত পাতবো। সেদিনই ঠিক করে নিয়েছিলাম, ক্রিকেটার হতে পারবো না।"
ক্রিকেট ছেড়ে তারপরেই অভিনয় জগতের দিকে ঝোঁকেন তিনি। ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায় ভর্তি হওয়ার জন্য ৩০০ টাকা প্রয়োজন ছিল। সেই সময় ইরফানের ত্রাতা হন বোন। সেই ঘটনা স্মরণ করে অভিনেতা বলেছিলেন, "ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা য় ভর্তি হওয়ার জন্য ৩০০ টাকা লাগতো। সেই টাকা জোগাড় করা আমার কাছে কঠিন ছিল। আমার বোন আমাকে সেই টাকা জোগাড় করে দেয়।"
ক্রিকেট ও অভিনয় দুই জগতের মধ্যে তুলনা করতে গিয়ে ইরফান বলেছিলেন, "ক্রিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত সচেতনভাবে নিয়েছিলাম। ক্রিকেটে দেশ থেকে মাত্র ১১ জন ই সুযোগ পাবে। অভিনেতা কিন্তু অনেক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে অভিনয় জগতে বয়সের কোনো ব্যাপার নেই। অভিনেতা নিজেই নিজের অস্ত্র। যত পরিশ্রম করবে ততই সাফল্য আসবে।"
ক্রিকেট ছেড়ে দিলেও ক্রিকেট নিয়ে বিশুদ্ধবাদী ছিলেন। টেস্ট ক্রিকেট ভালোবাসতেন। পছন্দ করতেন না টি টোয়েন্টি। ২০১৪ সালে ইরফান বলেছিলেন, "ক্রিকেট কেবল সময়ের অপচয়। টেস্ট ক্রিকেটের নাটকীয়তা এবং চার্ম ছেড়ে এই টি টোয়েন্টি খেলা ক্রিকেটকে ধর্ষণ করছে।"