চলতি বছর রাশিয়া বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দেখা হয়েছিল ইংল্যান্ড আর ক্রোয়েশিয়ার। সেবার ক্রোয়েশিয়া ২-১ গোলে জিতেই বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল। গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফুটবল খেলা থ্রি-লায়ন্স বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট হয়েই টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল।
বিশ্বকাপের পর গত শুক্রবার আবার দেখা হল দুই দলের। উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচে জ্লাটকো দালিচের শিষ্য়রা মুখোমুখি হল গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ম্য়াচ শেষ হল গোলহীন ভাবে। টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে এখনও পর্যন্ত জয়ের দেখা পেল না ‘এ’ লিগের গ্রুপ চারের ইংল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়া। নিজেদের প্রথম ম্যাচে দু’দলই হেরেছে স্পেনের কাছে। ক্রোয়েশিয়ার শহর রিজেকাতে খেলতে এসেছিল ইংল্যান্ড। ম্যাচের ভেন্যু ছিল স্ট্যাডিয়ন এইচএনকে রিজেকা। ৮ হাজার ২৭৯ আসনসংখ্যা বিশিষ্ট এই স্টেডিয়ামে ছিলেন না একটি দর্শকও। ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া খেলল ক্লোজড ডোর স্টেডিয়ামে। সাক্ষী থাকল ফাঁকা গ্যালারি।
আরও পড়ুন: ভিডিও দেখুন: সালাহার এই গোলেই তোলপাড় সোশ্যাল
এখন প্রশ্ন কেন হ্যারি কেন, লুকা মডরিচদের খেলা দেখতে কেন এলেন না কোনও দার্শক ? কী কারণ! উয়েফা অর্থাৎ ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার শাস্তি ভোগ করছে ক্রোয়েশিয়া। ২০১৫-র জুন মাসে ক্রোয়েশিয়া ঘরের মাঠে ইতালির বিরুদ্ধে ২০১৬ ইউরো কোয়ালিফায়ার ম্যাচে নেমেছিল। সেই ম্যাচের আগে স্ট্যাডিয়ন পোলজুদ স্টেডিয়ামে পিচের মধ্যে নাজি প্রতীক স্বস্তিকা চিহ্ণ খোদাই করা ছিল। এই ঘটনার জন্যই দু’ম্যাচের জন্য উয়েফা সমর্থকদের নির্বাসিত করেছে ক্রোয়েশিয়ার মাঠ থেকে। ফলে দর্শকহীন স্টেডিয়ামেই খেলতে হবে। এই অপরাধের জন্য ক্রোয়েশিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে এক লক্ষ ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি ইউরোর কোয়ালিফিকেশন থেকেও তাদের এক পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়েছিল। সেই ম্যাচেও সমর্থকরা বর্ণবিদ্বেষী স্লোগান তুলেছিলেন। ফলে তখনও উয়েফা তাদের মাঠে আসার প্রবেশাধিকার কেড়ে নিয়েছিল।ক্রোয়েশিয়া ২০১৫-র অক্টোবর থেকেই এই সাসপেনশনের আওতায়। বুলগেরিয়ার বিরুদ্ধেও নির্বাসন বহাল ছিল। এরপর থেকে উয়েফার কোনও ম্যাচই ক্রোয়েশিয়া খেলেনি। বুলগেরিয়া ম্যাচের পর এই প্রথম ইংল্যান্ড এই দেশে খেলতে এল।