রবি শাস্ত্রী নন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ভারতের জাতীয় দলের কোচ হতে পারতেন রাহুল দ্রাবিড়ই। এমনটাই জানালেন বোর্ডের সুপ্রিমকোর্ট নিযুক্ত প্রশাসক মন্ডলীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিনোদ রাই। বিরাট কোহলির সঙ্গে সেই বহু আলোচিত সঙ্ঘাতের পর জাতীয় দলের কোচ থেকে সরে দাঁড়ান অনিল কুম্বলে। তারপরেই রাহুল দ্রাবিড়কে কোচিং করানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই সময় জানানো হয়েছিল, ব্যক্তিগত ও পেশাদারি কারণ দেখিয়ে দ্রাবিড় সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
দ্রাবিড় কেন সেই প্রস্তাবে সম্মত হলেন না। সেই কথাই বিস্তারিত জানালেন বিনোদ রাই। জানিয়ে দেন, "কোচিংয়ের দায়িত্বের কথা মাথায় রাখলে দ্রাবিড়, শাস্ত্রী এবং কুম্বলেই সেরা। আমরা কুম্বলে চলে যাওয়ার পরেই দ্রাবিড়ের সঙ্গে কথা বলি। সেই সময় ও অনুর্দ্ধ-১৯ জাতীয় দলের দায়িত্বে। ওই দলটার সঙ্গে ভীষণভাবে ইনভলভড ছিল। একটা যুব দলকে কীভাবে দীর্ঘকালীন ভাবে তৈরি করতে হয়, সেই বিষয়ে ও একটা রোডম্যাপও বানায়।"
স্পোর্টসক্রীড়ার সেই সাক্ষাৎকারে বিনোদ রাই বলেন, "রাহুল আমাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছিল, দেখুন, বাড়িতে আমার দুটো বাচ্চা বড় হচ্ছে। জাতীয় দলের সঙ্গে গোটা বিশ্ব বেড়াতে থাকলে কোনোদিন ওদের সময় দিতে পারব না। আমার মনে হয়, বাচ্চাদের সময় দেওয়াটা প্রয়োজন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো আমার কাছে ভীষন গুরুত্বপূর্ণ।"
রাই এরপরেই বলেন, "আমাদের মনে হয়েছিল যে, ওর দায়িত্ব নিতে না চাওয়ার পিছনে এটা অত্যন্ত সঙ্গত কারণ। ওর যেটা ভাল মনে হয়েছে, সেটাই জানিয়েছে। তবে রাহুল আমাদের বিবেচনায় ছিল। যুব দলের কোচ হিসেবে দারুণ ফলাফল এনে দিচ্ছিল আমাদের। ও ওই দলের সঙ্গেই থাকতে চেয়েছিল। কারণ ওঁর মনে হয়, তখনও কিছু কাজ অসমাপ্ত রয়ে গিয়েছিল।"
যাইহোক দ্রাবিড় প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার পর ২০১৭ এ দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা হয় রবি শাস্ত্রীকে। দ্রাবিড়কে পরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির প্রধান হিসাবে নিযুক্ত করা হয় গত বছর জুলাইয়ে।