গত জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শেষবার দেশের জার্সিতে ওয়ান-ডে খেলেছিলেন যুবরাজ সিং। ফ্ল্যামবয়েন্ট এই ভারতীয় অলরাউন্ডার আগেই বলেছিলেন যে, ২০১৯ বিশ্বকাপে দেশের জার্সিতে প্রতিনিধিত্ব করতে চান তিনি। এবার যুবি জানালেন, আগামী বছর বিশ্বকাপ ক্রিকেট শেষ হওয়ার পর ভবিষ্য়ৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন তিনি।
এই মুহূর্তে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে আইপিএল খেলছেন যুবি। ২০১১-র বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। সেবার টুর্নামেন্টের সেরার পুরস্কারও পেয়েছিলেন পাঞ্জাব পুত্তর। যুবি বলছেন, “আমি ২০১৯ পর্যন্ত ক্রিকেট খেলতে চাই। সেবছরটা শেষ হলেই ভবিষ্য়তের সিদ্ধান্ত নেব। প্রত্যেককেই একটা সময়ের পর সিদ্ধান্তে আসতে হয়। আমি সেই ২০০০ সাল থেকে ক্রিকেট খেলছি, প্রায় ১৭-১৮ বছর হয়ে গেল। সুতরাং ২০১৯-এর অবশ্যই আমি একটা সিদ্ধান্তে আসব।
যুবরাজ সিংয়ের কথা বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে একজন প্রকৃত যোদ্ধার কথা। ২০১১-তে দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোর পরেই ক্যান্সারের মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হন তিনি। বিদেশ থেকে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে দেশে ফেরেন তিনি। এরপর ২০১২-তে ফেরেন যুবি।
এবছর আইপিএল-এ অসাধারণ খেলছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। প্রায় প্রতি ম্যাচেই জ্বলে উঠছেন লোকেশ রাহুল ও ক্রিস গেইলরা। আইপিএল ইলেভেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম দাবিদার কিংস। যুবিও এই দলের সদস্য। তিনি বলছেন, “এই মুহূর্তে শেষ চারে যাওয়া আমাদের লক্ষ্য। আমার ধারণা এ বছর আমাদের টিমটা দারুণ হয়েছে। আমাদের অসম্ভব শক্তিশালী ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি স্মার্ট বোলিং লাইন-আপ রয়েছে। আশা করছি কোয়ালিফাই করতে পারব। দেখি যদি ফাইনাল জিততে পারি!” রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জার্সি ছেড়ে এবার আইপিএল-এ যুবির দলের হয়েই খেলছেন ক্রিস গেইল। শেষ তিন ম্যাচেই দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন ক্যারিবিয়ান দৈত্য। দুটি হাফ সেঞ্চুরি ও একটি সেঞ্চুরি করা হয়ে গিয়েছে তাঁর। গেইলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ যুবি। গেইলের খেলা দারুণ উপভোগ করছেন বলে জানিয়ে যুবি বলেছেন, ‘‘মাঠের বাইরে ও বরাবরই একজন বন্ধু। গেইল সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাটসম্যান।’’ যুবরাজের মতে, ‘‘টি ২০ বরাবরই খুব অনিশ্চয়তার খেলা। যে কেউ যে কোনও দিন জিততে পারে। তবে চেন্নাই খুবই ধারাবাহিক, আর কলকাতা বেশ ভাল খেলছে। এ দুটো টিমের দিকে নজর রাখা জরুরি।’’