খেলা দেখতে এসে লাল রঙের অফসোল্ডার টপ আর ডেনিম জিন্সেই ঝড় তুলেছিলেন সেরাতে। হাসি মুখেই কখনও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের পতাকা ওড়াচ্ছিলেন তো কখনও গ্যালারিতে বিরাট কোহলির দলের জন্য চিয়ার করতে করতেই কোমর দোলাচ্ছিলেন তিনি। টিভি ক্যামেরায় বারবার তাঁর মিষ্টি মুখের প্রাণবন্ত ছবিই ফুটে উঠেছিল।
ব্যাস তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি আরসিবি-র ফ্যান গার্ল বলে পরিচিত বেঙ্গালুরু নিবাসী দীপিকা ঘোষকে। এক রাতেই ইন্টারনেট সেনসেশন হয়ে গিয়েছিলেন বছর ছাব্বিশের মেয়ে। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আরসিবি বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ম্যাচে তাঁকে দেখার পরেই মানুষের মধ্যে তাঁকে নিয়ে কৌতুহলের পারদ চড়তে শুরু করে। এক রাতেই তাঁকে ইনস্টাগ্রামে দেড় লক্ষ মানুষ ফলো করা শুরু করেন। এতদূর পর্যন্ত সবই ঠিক চলছিল মডেল কন্যা দীপিকার। কিন্তু বাধ সাধল তাঁকে নিয়ে মানুষের আগ্রহের পাগলামি। দীপিকা বলছেন তাঁর জীবন এখন দুর্বিসহ হয়ে গিয়েছে।
দীপিকা ইনস্টাগ্রামে একটি বড় পোস্ট দিয়েই লিখলেন, "আমার নাম দীপিকা ঘোষ, সম্ভবত এটাই একমাত্র ১০০ শতাংশ সত্যি যেটা আমার ব্য়াপারে বলা হচ্ছে। বহুবছর ধরেই আমি আরসিবি-র ম্য়াচ দেখি। এটা অনেকটা পারিবারিক রীতির মতো হয়ে গিয়েছে বেঙ্গালুরুর হয়ে চিয়ার করা বা তাদের খেলা দেখতে এসে সমর্থন করা। আমরা ৪ মে আরসিবি বনাম এসআরএইচের খেলা দেখতি গিয়েছিলাম অনান্য দিনের মতোই। কিন্তু আমি কোনও পরিচিত বা স্বীকৃতি চাইনি। বুঝতেও পারিনি কতবার আমাকে ক্যামেরায় দেখানো হয়েছে। আমি কোনও সেলিব্রিটি নই। অত্যন্ত সাধারণ একজন।" দীপিকা বলছেন, "অনেকেই বলছেন আমার জীবন কত'টা পরিবর্তন হয়েছে। সত্যি বলতে যা ছিলাম তাই আছি। মানুষের ভালবাসায় আমি ধন্য। কিন্তু অত্যন্ত চমকে গিয়েছি যেভাবে মানুষ আমার পরিচিতি, ব্য়ক্তিগত জীবনে ঢোকার চেষ্টা করছেন। পুরুষরা আমার সঙ্গে অসভ্যতা করেছে, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছে। অসৎ অভিপ্রায় নিয়েই অসম্মানিত করেছে। সবচেয়ে খারাপ লাগছে মহিলারা আমাকে ঘৃণা করতে শুরু করেছেন।" দীপিকা আরও বলছেন যে. তাঁর আরসিবি-র ফ্যান গার্লের বাইরেও একটা পরিচিতি রয়েছে।