আইসিসি টি-২০ মহিলা ক্রিকেটে ভারতের সেমিফাইনালে হারের পর হরমনপ্রীত কাউরের দলগঠনের সিদ্ধান্ত নিয়ে তুমুল ঝড় উঠেছে। ভারতের বিশ্রী ব্যাটিং প্রদর্শনের পর টিম হারে আট উইকেটে। ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ১১২ রান তুলেছিল। টিমে জায়গা হয়নি দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মিতালি রাজের। এরপর মিতালি রাজের ম্যানেজার অন্নিশা গুপ্ত টুইটারে ভারতের অধিনায়কের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বলে ইএসপিএনের একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে।
রিপোর্ট অনুসারে একাধিক টুইটে অন্নিশা অভিযোগের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন হরমনপ্রীতের বিরুদ্ধে। তাঁকে মিথ্যাবাদী, চক্রান্তকারী, অনভিজ্ঞ, অযোগ্য - এরকম সব সম্ভাষণে ভূষিত করেছেন অন্নিশা।
ইএসপিএন ক্রিকইনফো-কে দেওয়া এক টেলিফোনিক সাক্ষাৎকারে অন্নিশা সমস্ত টুইটের দায় স্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, "ভেতরে কী ঘটছে আমি জানি না, তবে ম্যাচের যেহেতু সম্প্রচার হয়েছে, তাতে আমরা দেখতে পাচ্ছি কে কী পারফর্ম করছেন।"
‘‘ধারাবাহিকতা এবং দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স সত্ত্বেও মিতালির সঙ্গে কী আচরণ করা হচ্ছে আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি। মিতালির সঙ্গে যে আচরণ হচ্ছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত, এবং আমাদের শুধু যেসব বিবৃতি বাইরে আসছে তার উপর নির্ভর না করে আরও গভীরে গিয়ে বিষয়টি জানা দরকার। বিবৃতি দেওযা হচ্ছে যে জুনিয়রদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের মত প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে অভিজ্ঞ প্লেয়ারকে বসিয়ে রাখা যায় না। এটা শুধু জুনিয়রদের চান্স দেওয়ার ব্যাপার নয়, তার চেয়ে বেশি কিছু।’’
নিজের টুইট নিয়ে তিনি অনুতপ্ত কি না তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অন্নিশা বলেন, ‘‘সম্ভবত আমি একটু বেশি রেগে ছিলাম কিন্তু সব মিলিয়ে ঠিকই হয়েছে কারণ আমি অন্যায় আচরণ নিতে পারি না। এটা খুবই স্পষ্ট যে দলের কিছু সদস্যের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে।"
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যে অ্যাকাউন্ট থেকে টুইটগুলি করা হয়, সেটি অন্নিশার বিবৃতির ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই ডিলিট করে দেওয়া হয়।