এবারেও হল না। সেই ব্রিটিশ কাঁটাতেই বধ হল ভারতের প্রমীলা ক্রিকেটার দল। অ্যান্টিগায় টি ২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অত্যন্ত খারাপ ব্যাটিংয়ের পরিচয় দিয়ে হারল তারা। ইংল্যান্ড জিতল ৮ উইকেটে, ১৭ বল বাকি থাকতেই। ফাইনালে তারা খেলবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে।
শুরুতে ব্যাট করে ভারত মাত্র ১১২ রান তোলে। সামান্য ওই কটা রান তাড়া করতে কোনও সমস্যাই হয়নি ব্রিটিশদের। ইংল্যান্ডের নালাকি শিভার এবং অ্যামি জোনস যথাক্রমে ৫২ ও ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। অনুজা পাটিলের শর্ট বলে অ্যামি জোনস বাউন্ডারি মেরে জয়সূচক রান তুলে নেন।
উইনিং কম্বিনেশন বজায় রাখার সূত্র মেনে এদিন টিমে রাখা হয়নি ভারতের অন্যতম অভিজ্ঞ মিতালি রাজকে। দলের ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কাউরকে ম্যাচের পর এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমরা দলের দিকে তাকিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ধরনের সিদ্ধান্ত কখনও কাজে লাগে, কখনও কাজে লাগে না। এ নিয়ে কোনও আফশোস নেই। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে মেয়েরা যা পারফর্ম করেছে, তার জন্য আমি গর্বিত।’’
এদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন হরমনপ্রীত। পাওয়ারপ্লে-তে স্মৃতি মান্ধানা এবং তানিয়া ভাটিয়া প্রথম উইকেটে ৪৩ রান তুলে একটা ভদ্রস্থ টোটাল খাড়া করার ভিত তৈরি করেছিলেন। নবম ওভারে ভাটিয়া ফিরে যেতে রানের গতি মন্থর হতে থাকে। স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামের ঘূর্নি পিচে ভারতীয়দের নাকানি চোবানি খাওয়াতে শুরু করেন স্পিনাররা।
জেমাইমা আউট হওয়ার পর প্যাভিলিয়নে ফেরার মিছিল শুরু হয়ে যায়। ভেদা কৃষ্ণমূর্তি (২), হরমনপ্রীত (১৬), হেমলতা (১), অনুজা পাটিল (০) এবং রাধা যাদব (৪) রান করেন। ১৩.৩ ওভার থেকে ১৮.৪ ওভার, এই ৩১ বলের মধ্য ১৫ রান তুলে ৬ উইকেট খোয়ায় ভারতীয় দল। এর মধ্য একটি বাউন্ডারিও মারতে পারেনি তারা। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হন অরুন্ধতী রেড্ডি এবং দীপ্তি শর্মা।
ইংল্যান্ড ইনিংসের শুরুতে কিঞ্চিৎ আশা জাগিয়েছিলেন রাধা যাদব। দ্বিতীয়ওভারেই টামসিন ব্যুমোঁকে ফেরান তিনি। পঞ্চম ওভারে আরেক ওপেনা ড্যানিয়েস ওয়াটকে ফেরান দীপ্তি। ইংল্যান্ডের স্কোর তখন ২ উইকেটে ২৪। কিন্তু সেখানেই শেষ। এরপরেই খেলা ধরে নেন শিভার ও জোনস।
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ইংল্যান্ডের সাক্ষাৎ রবিবার। ১৮ মাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বকাপের লক্ষ্যে ইংল্যান্ড। এর আগে নিজেদের দেশে পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ জিতেছিল তারা।