মঙ্গলবার বিশ্বকাপের জন্য সূচি ঘোষণা করেছে আইসিসি। ৫ অক্টোবর থেকে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর ফাইনাল হবে ১৯ নভেম্বর। বিশ্বকাপের সর্বমোট ৪৮টি ম্যাচ আয়োজিত হবে ১০ রাজ্যে। দশ রাজ্যের ১০ ঘোষিত ভেন্যু হল- কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই, মুম্বই, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, ধর্মশালা, আহমেদাবাদ, লখনৌ এবং পুণে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ হবে হায়দরাবাদ এবং গুয়াহাটিতে। ঘটনা হল, এর মধ্যে তিনটি আইকনিক ম্যাচই পেয়েছে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। উদ্বোধনী ম্যাচের পর ফাইনাল এবং টুর্নামেন্টের ব্লকবাস্টার ভারত-পাক ম্যাচের আয়োজক নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম।
এতেই অসন্তোষ দানা বেঁধেছে বিশ্বকাপের ভেন্যু না পাওয়া বাকি রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থাগুলির মধ্যে। সরাসরি রাজনীতির অভিযোগ উঠে গিয়েছে। ইন্দোর এবং মোহালির মত আইকনিক ভেন্যু বিশ্বকাপের একটিও ম্যাচ পায়নি। পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার তরফে বোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয়েছে। ২০১১ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারত-পাক ম্যাচ আয়োজন করেছিল মোহালি। এবার সেই মোহালিকেই ব্রাত্য করে দেওয়া হয়েছে। পাঞ্জাবের ক্রীড়ামন্ত্রী সরাসরি বোর্ডকে আক্রমণ শানিয়ে 'রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ'-এর অভিযোগ তুলেছেন। ব্যঙ্গের ছলে বলে দিয়েছেন, 'সকলেই জানেন, বোর্ড কারা চালাচ্ছে।'
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান সেমিফাইনাল হলেই পোয়াবারো ইডেনের! বিশ্বকাপের মহা-আপডেট সরাসরি
মঙ্গলবার আইসিসির সরকারি ঘোষণার পর জানা যায়, ১০ টি আয়োজক শহরের ভেন্যুর নাম। ইন্দোর, মোহালি তো বটেই রাঁচি, রাজকোট, নাগপুরের মত ভেন্যুতেও একটি ম্যাচ ফেলা হয়নি। সাধারণত, বড় কোনও ইভেন্টে আয়োজক দেশের অর্গানাইজিং কমিটির তরফে আইসিসির কাছে ভেন্যুর তালিকা পাঠানো হয়। আইসিসি স্রেফ সেই তালিকায় সিলমোহর দিলেই তা চূড়ান্ত হয়ে যায়।
পাঞ্জাবের ক্রীড়ামন্ত্রী গুরমিত সিং মিত হায়ের আয়োজক ভেন্যুর তালিকা থেকে মোহালিকে বাইরে রাখার তীব্র নিন্দা করেছেন। তাঁর বিষ্ফোরক অভিযোগ, "আয়োজক ভেন্যুর নাম বাছাই করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা প্রভাব ফেলেছে। মোহালি ক্রিকেট স্টেডিয়াম অতীতে ১৯৯৬, ২০১১-এ মেজর ক্রিকেট ম্যাচ হোস্ট করেছে। এবার একটাও ম্যাচ ফেলা যেত না?"
একই সুরে মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট অভিলাস খান্দেকর হতাশা উগরে দিয়েছেন। বলে দিয়েছেন, "১৯৮৭-এ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল ইন্দোরে। এবার আমরা দুঃখিত, কোনও ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। বোর্ডের কেন এমন সিদ্ধান্ত, বোধগম্য নয়। ২০১৯ ওয়ার্ল্ড কাপ হয়েছিল ১১টা ভেন্যুতে। ২০১৫-র ওয়ার্ল্ড কাপ হয় ১৪ শহরে। আমাদের বলা হয়েছে, চার-পাঁচটা মেট্রো শহর বাদে প্রতি জোন (পূর্বাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল) থেকে একটা ভেন্যু সিলেক্ট করা হয়েছে। আহমেদাবাদ স্টেডিয়ামে বৃহত্তম হওয়ায় ওখানে ফাইনাল আয়োজন করা হবে।"
Read the full article in HINDI