Yash Dhull: এনসিএ'তে রুটিন শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছিল। সেই সময়েই যে এমন দুঃসংবাদ শুনতে হবে, ভাবতেই পারেননি অনুর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইয়াশ ধুল। এনসিএ-র ক্যাম্পে ধরা পড়ে ধুলের হৃদপিন্ডে বড়সড় ফুটো। সঙ্গেসঙ্গেই তাঁকে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেওয়া হয়।
২০২২-এর যুব বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক পরবর্তীতে দিল্লির অধিনায়ক হন। এমনকি যুব পর্যায়ে ভালো পারফরম্যান্স করে দিল্লি ক্যাপিটালস দলেও জায়গা করে নেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে একদমই ফর্মে নেই তিনি। দিল্লি প্রিমিয়ার লিগেও ছন্দে পাওয়া যায়নি তাঁকে।
ইস্ট দিল্লি রাইডার্সের বিরুদ্ধে আরও একবার খারাপ পারফরম্যান্স করার পর নিজের অফফর্মের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ধুল টিভি-১৮'কে জানিয়েছেন, "অতীতে বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। আমি ধীরে ধীরে রিকভারি করছি। এতে সময় লাগছে। তবে আমার ফর্মে ফেরার জন্য ১০০ শতাংশ উজাড় করে দেব।"
দিল্লিতেই হয়েছিল ধুলের অস্ত্রোপচার। বোর্ডকে পুরো ঘটনাবলী সম্পর্কে অবহিত রাখা হচ্ছিল। ইয়াশ ধুলের পিতা বিজয় ধুল টিভি-১৮'কে জানিয়েছেন, "এটা খুব একটা সিরিয়াস কিছু নয়। জন্ম থেকেই ওঁর হার্টে ফুটো ছিল। এনসিএ চিকিৎসকরা ছোটখাটো অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছিলেন। দিল্লিতে অস্ত্রোপচার হওয়ার পর পুরো বিষয় নজরে রেখেছিল বিসিসিআই।"
ইয়াশ ধুলের শৈশবের কোচ প্রদীপ কোচার জানিয়েছেন, "এনসিএর তরফে ফিট শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। আগামীতে খেলার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। ডিপিএল-এ একটা ম্যাচে ওঁকে বসতে হয়েছিল অতিরিক্ত আর্দ্রতার জন্য। রঞ্জি ট্রফি এবং লম্বা ফরম্যাটে খেলতেও ওঁর কোনও সমস্যা হবে না।"
দলীপের সদ্য ঘোষিত চার স্কোয়াডে কোনও দলেই রাখা হয়নি ধুলকে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে নিজেকে নির্বাচকদের সামনে প্রমাণ করতে মরিয়া তিনি।