/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/02/wpl-2023.jpeg)
আইপিএলের নিলামের ঠিক শুরুর আগেই সম্প্রচারকারী চ্যানেলে রিচা ঘোষের ভিডিও দেখিয়েছিল। যেখানে জাতীয় দলের তরুণ তুর্কিকে বলতে দেখা গিয়েছে, কলকাতায় ফ্ল্যাট কেনার স্বপ্নের কথা। স্বপ্নালু গলায় বলেছেন, বাবাকে এই কাজ করতে দিতে চান না তিনি।
আইপিএল নিলাম রিচার সব স্বপ্ন সত্যি করে দিল। আরসিবি রিচা ঘোষকে কিনে নিল ১.৯ কোটি টাকায়। শিলিগুড়ি থেকে মানবেন্দ্র ঘোষ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলে দিয়েছেন, "অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। মনের মধ্যে সমস্ত আবেগ যেন একাকার হয়ে গিয়েছে। রিচা শৈশব থেকে অনেক কষ্ট সহ্য করেছে। নিজের ওপরেও মাঝেমাঝে এই কারণে অপরাধ-বোধ হয়।"
আরও পড়ুন: IPL নিলামে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাঙালির দর ২৫ লক্ষ! অর্থ কষ্ট ভুলেই গেলেন চুঁচুড়ার সুপারস্টার
কীভাবে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি যাতায়াত করত রিচা, এখনও মনে করতে পারেন মানবেন্দ্র বাবু। ট্রেনে করে ৬০০ কিমি ভ্রমণ করত রিচা, খোঁজা হত সস্তার হোটেল। অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করতে বসে মানবেন্দ্রবাবু বলছিলেন, "অর্থ একটা সমস্যা ছিল। কলকাতায় চেনা-পরিচয়ের কেউ ছিলেন না। তাই আমরা সস্তার হোটেল খুঁজতাম, যাতে বেশ কিছুদিন থাকা যায়। সকাল সাতটায় মাঠে যাওয়া। সন্ধেয় মাঠ থেকে হোটেলে ফেরা- এটা আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কলকাতায় মাঠই আমাদের ঘর-বাড়ি হয়ে দাঁড়িয়েছিল।"
She packs a punch this @13richaghosh! 👊
She joins @RCBTweets for INR 1.90 Crore 👏 👏#WPLAuctionpic.twitter.com/LwpPUdnmwU— Women's Premier League (WPL) (@wplt20) February 13, 2023
"আমরা কখনই শিলিগুড়ি ছাড়ব না। তবে কলকাতায় এই নিলামের অর্থ দিয়ে একটা ফ্ল্যাট কিনতে চাই, যেখান থেকে ও অনুশীলন করতে পারবে।"
তিনি বলেই চলেছিলেন, "২০১৩-য় অনুর্দ্ধ-১৯ ট্রায়ালের আগে ওঁকে ব্যাট কিনে দেওয়ার জন্য একটা লোন নিয়েছিলাম। সেবার ও ট্রায়ালে সুযোগ পায়নি। তবে পরের বছর রিচা মাত্র ১২ বছরে অনুর্দ্ধ-১৯'এ জায়গা পেয়ে যায়। তারপর থেকে ওঁকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। সেই বছরেই অনুর্দ্ধ-২৩ দলেও জায়গা করে নিয়েছিল ও। ১৩ বছর বয়সে বাংলার সিনিয়র দলের হয়েও অভিষেক ঘটিয়ে ফেলে ও।"
Read the full article in ENGLISH