কুস্তিগীরদের আন্দোলন নিয়ে এই প্রথম মুখ খুলল কেন্দ্র। বুধবার কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর কুস্তিগীরদের সংযত থাকতেই অনুরোধ করেছেন। একই সঙ্গে কুস্তিগীরদের দিল্লি পুলিশের তদন্তের ওপর ভরসা রাখারও অনুরোধ জানিয়েছে।
রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের গ্রেফতারির দাবিতে অনড় কুস্তিগীররা। দিল্লি পুলিশের অশালীন আচরণের প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ কুস্তিগীররা গঙ্গায় তাদের পদক ভাসানোর জন্য হরিদ্বারে পৌঁছান। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর কুস্তিগীরদের দিল্লি পুলিশের তদন্তে আস্থা রাখতে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে আবেদন করেছেন। মঙ্গলবারই এই ইস্যুতে কেন্দ্রকে পাঁচ দিনের সময়সীমা বেধে দিয়েছেন কুস্তিগীররা। আপাতত পদক বিসর্জনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে তাঁরা এই ব্যাপারে কৃষক নেতাদের স্মরণাপন্ন হয়েছেন।
এদিকে, ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের সর্বভারতীয় সভাপতি নরেশ টিকাইত, আজ, মুজাফফরনগরের সৌরাম গ্রামে একটি খাপ পঞ্চায়েতের ডাক দিয়েছেন। নরেশ টিকাইত বলেছেন যে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাবের ৩০-৩৫ জন খাপ নেতা এই মহাপঞ্চায়েতে অংশ নিতে পারেন। এর ফলে দিল্লি, হরিয়ানা ছাড়িয়ে বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়তে চলেছে অন্যত্রও।
এবিষয়ে নরেশ টিকাইত বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে গ্রেফতার করা হোক। তার পরই আমরা অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলব। উল্লেখ্য, ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। ২৮ এপ্রিল দিল্লি পুলিশের তরফে দায়ের করা দুটি এফআইআর-এও তার নাম রয়েছে। এর পাশাপাশি পকসো আইনেও ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। নাবালক মহিলা কুস্তিগীরকেও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে।
এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে ব্রিজভূষণ শরণ সিং বলেন, ‘আমি আবারও বলছি, আমার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও প্রমাণিত হলে আমি নিযে গলায় দড়ি দেব । যদি আমার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ থাকে, তাহলে আদালতে তা পেশ করুন, আদালত যদি আমাকে ফাঁসিও দেয়, আমি মেনে নেব’।