রঞ্জির নক আউট পর্বে ঋদ্ধিমান সাহা বাংলার হয়ে খেলতে অস্বীকার করছেন। বিবৃতি দিয়ে জানিয়েই দিল সিএবি। জানা যাচ্ছে, ঋদ্ধিমান বাংলার হোয়াটসএপ গ্রুপ ছেড়েও বেরিয়ে গিয়েছেন। ২০০৭-এ বাংলার হয়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। সেই কেরিয়ারে বোধহয় পাকাপাকিভাবে ফুলস্টপ পড়তে চলেছে। জুনের ৬ তারিখে বাংলা রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নামছে। সেই ম্যাচে হয়ত নেই ঋদ্ধিমান।
অভিষেক ডালমিয়া এক বিবৃতিতে বলে দিয়েছেন, "রঞ্জির গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বিশেষ করে বাংলা যখন গ্রুপ পর্বে সেরা হয়ে নকআউটে নামছে ট্রফি জেতার জন্য খেলতে নামছে, সিএবি চেয়েছিল ঋদ্ধিমান বাংলার হয়ে খেলুক। আমি ঋদ্ধিমানের সঙ্গে কথা বলে ওর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। তবে ঋদ্ধি আমাদের জানিয়ে দিয়েছে, ও রঞ্জির নক আউটে আর খেলতে চায় না।"
আরও পড়ুন: কোহলির শট যেন জাদুটোনা! জয় শাহের পাশে বসেই তারিফ সৌরভের, দেখুন ইডেনের ভিডিও
৩৭ বছরের তারকা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ইতিমধ্যেই সিএবির কাছে অন্য রাজ্যের হয়ে খেলার জন্য এনওসি চেয়েছেন। সিএবির এক শীর্ষ আধিকারিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানাচ্ছেন, "কী করা যাবে? ও যদি গোঁ ধরে বসে থাকে, আমাদের এনওসি দিতে হবে। তবে কারোরই উচিত নয়, রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়া। ব্যক্তির থেকে প্রতিষ্ঠান বরাবর বড় হয়।"
বাংলার রঞ্জি দলের এক কোচিং স্টাফ জানাচ্ছেন, "ঋদ্ধিমানের নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তবে এখন গোটা ছবিই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। সেই অনুযায়ী, আমরা পরিকল্পনা করতে পারব।"
আরও পড়ুন: গম্ভীরের গনগনে মেজাজে রাহুল! ক্ষোভে ফুঁসলেন মহাতারকা, ইডেনে বেনজির কাণ্ড, দেখুন ভিডিও
গোটা ঘটনার সূত্রপাত বাংলার গ্রুপ পর্বে ঋদ্ধিমানের নিজেকে সরিয়ে নেওয়া থেকে। সেই সময় ফেব্রুয়ারিতে সদ্য শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস ঋদ্ধিমানের প্রকাশ্যেই সমালোচনা করে বসেন। তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। পাল্টা ঋদ্ধিমান জানান, পরিবারের এক সদস্যের অসুস্থতার জন্য নিজেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলার ২২ জনের স্কোয়াডে ঋদ্ধিমানকে রাখার পরে তারকা সরাসরি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়াকে ফোনে জানান, যুগ্ম সচিব তাঁর বিরুদ্ধে মন্তব্য করে সীমা লঙ্ঘন করেছেন। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, দল ঘোষণার আগে নির্বাচকদের উচিত ছিল তাঁর সঙ্গে একবার কথা বলা, যেরকম তাঁরা করেছেন মহম্মদ শামির ক্ষেত্রে।
সিএবির আধিকারিক এই প্রেক্ষিতে জানাচ্ছেন, "সিএবি প্রেসিডেন্ট বারবার বলেছেন, সেই মন্তব্যে মোটেই সায় দেয়নি বঙ্গ ক্রিকেট সংস্থা। তা সত্ত্বেও ঋদ্ধিমান পিছু হঠার কোনও লক্ষণই দেখাচ্ছেন না। প্রথা অনুযায়ী, জাতীয় দলের ক্রিকেটার হলে তবেই একমাত্র দল নির্বাচনের আগে সংশ্লিস্ট ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলা হয়। ঋদ্ধিমান যখন জাতীয় দলের সদস্য ছিল সেই সময় আমরা কথা বলে নিতাম।"
চলতি আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের জার্সিতে দুর্ধর্ষ ছন্দে রয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা। ১০ ম্যাচে তিনটে হাফসেঞ্চুরি সমেত ৩১২ রান করে ফেলেছেন। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্টের স্কোয়াডে রাখা হয়নি তাঁকে। এদিকে, বোর্ডের সবুজ সঙ্কেত পেলে তবেই শামি বাংলার হয়ে রঞ্জির কোয়ার্টারে খেলবেন।