গত পাঁচ ছয় মাস ধরে ঋদ্ধিমান কেরিয়ারের বোধহয় সবথেকে ঘটনাবহুল সময় কাটাচ্ছেন। টেস্ট দলে বাদ পড়া থেকে সাংবাদিক বোরিয়া মজুমদারের সঙ্গে হুমকি-আলাপ। সবসময়েই খবরের শিরোনামে থেকেছেন তারকা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। কয়েকদিন আগেই রঞ্জিতে বাংলার নকআউট পর্বের জন্য ঋদ্ধিমানকে রেখে দল গড়েছে বাংলা। তবে জানা যাচ্ছে, ঋদ্ধিমান বাংলার জার্সিতে আর খেলতে আগ্রহী নন।
এর আগে ব্যক্তিগত কারণে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে খেলেননি। সেই সময় বিষ্ফোরকভাবে সিএবির তরফে ঋদ্ধিমানের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এতেই অপমানিত হন ঋদ্ধিমান। সম্প্রতি বাংলার স্কোয়াড ঘোষণার আগে মহম্মদ শামিকে সিএবির তরফ থেকে যোগাযোগ করে দলে রাখা হলেও, ঋদ্ধিমানের সঙ্গে কথা না বলেই তাঁকে বাংলা দলে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়। এতেই নতুন করে অপমানিত বোধ করছেন তারকা উইকেটকিপার।
আরও পড়ুন: কামিন্স-রাহানে বাইরে! মাস্ট উইন লখনৌ ম্যাচে বড়সড় বদল, কেমন হচ্ছে KKR একাদশ, জানুন
স্পোর্টসস্টার-কে ঋদ্ধিমানের স্ত্রী রোমি সাহা জানিয়েছেন, "কয়েকমাস আগে ঋদ্ধিমান যখন ব্যক্তিগত কারণে রঞ্জিতে খেলতে পারেননি, সেই সময় সিএবি এক কর্তা মিডিয়ায় ওঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ঋদ্ধিমানের মত একজন সিনিয়র ক্রিকেটার যে বাংলার ক্রিকেটকে এত কিছু দিয়েছে, এতে চূড়ান্ত অপমানিত বোধ করেছে।"
"গত রাতে স্কোয়াড ঘোষণার পরে অভিষেক ডালমিয়ার সঙ্গে ও কথা বলে পুরো বিষয়টি জানায়। সিএবি প্রেসিডেন্ট ওঁকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা কর নকআউট পর্বে খেলার অনুরোধ করেছেন। তাঁকে ঋদ্ধিমান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে বারবার প্ৰশ্ন ওঠার পর বাংলার হয়ে খেলার অবস্থায় ও নেই।"
সিএবি সভাপতির তরফে যোগাযোগ করা হলে তিনি আবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টিতেই ব্যক্তিগত স্তরে কথাবার্তা হয়েছিল। "কোনও ক্রিকেটারের সঙ্গে কোনও সংস্থার যখন আলোচনা হয়, সেটা একান্তই তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই বিষয়ে এই মুহূর্তে কোনও মন্তব্য করব না।"
জানা যাচ্ছে, ঋদ্ধিমান সিএবির কাছে এনওসি-ও চেয়েছেন। তবে এখনও সিএবির তরফে কোনও এনওসি মঞ্জুর করা হয়নি। হঠাৎ এই বিতর্কের রেশ কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।