ভারতের টেস্ট দল থেকে বিতর্কিতভাবে প্রস্থান ঘটেছে ঋদ্ধিমান সাহার। ৩৭ বছরের বর্ষীয়ান তারকা ভালো পারফর্ম করে পুনরায় টিম ইন্ডিয়ার দরজা খুলতে পারবেন, এমন আশা তিনি নিজেই করছেন না। মহেন্দ্র সিং ধোনির দোর্দন্ডপ্রতাপ রাজত্বে দলের দ্বিতীয় বাছাই উইকেটকিপার ছিলেন। ধোনির অবসরের পরে টানা চার বছর খেলেছেন ফার্স্ট চয়েস কিপার হিসাবে।
তবে ঋষভ পন্থের উল্কা গতিতে উত্থান ফের ব্যাকসিটে ঠেলে দিয়েছিল ঋদ্ধিকে। বেশ কয়েকবার চোট আঘাতে ভোগার পর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর জাতীয় দল থেকে একেবারে ব্রাত্য করে দেওয়া হয় তারকাকে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে নেই কোহলি-রোহিত! শেষে মুখ খুলতে বাধ্য হলেন কোচ দ্রাবিড়
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই ঋদ্ধিমান সাহা হাটে হাঁড়ি ভেঙে বলে দেন, কোচ রাহুল দ্রাবিড় নাকি জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি আর জাতীয় দলের পরিকল্পনায় নেই। তারপর তারকা উইকেটকিপারকে ঘিরে একাধিক ঘটনার আবর্ত ঘুরপাক খেয়েছে- কখনও গুজরাট টাইটান্স দলের হয়ে আইপিএলে জিতেছেন, সাংবাদিকের সঙ্গে হোয়াটসএপ চ্যাট ঘিরে তুলকালাম হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট, কখনও আবার বাংলা ক্রিকেট দলের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছেন।
কেরিয়ারের এমন মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ঋদ্ধিমান স্পোর্টস ক্রীড়াকে সাফ জানাচ্ছেন, "সরকারিভাবে জাতীয় দলের পক্ষ থেকে আমাকে বাদ দেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়ায় আপাতত আমার ফোকাস ঘরোয়া ক্রিকেটে, অবশ্যই যদি আমি অংশ নিই এবং আইপিএল তো বটেই।" কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার সম্ভবনা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, "একদমই নয়। এই মুহূর্তে পরিবারকে সময় দেওয়া ভীষণ মুশকিল। সেই কারণেই পরিবারের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটাতে চাই।"
আরও পড়ুন: বাদ ভেঙ্কটেশ, উমরান কাঁপাবেন গতিতে! ১ম টি২০-তে প্রোটিয়াজ ম্যাচে এই দল সাজাচ্ছে ভারত
নিলামে ১.৯ কোটি টাকায় গুজরাট টাইটান্স দলে যোগ দিয়েছিলেন তারকা। আইপিএল বাংলার তারকার কেরিয়ারে অক্সিজেন জুগিয়ে গিয়েছে। ১১ ম্যাচে ৩১৭ রান করেছেন তিনটে ফিফটি সহ। ওপেনিংয়ে গুজরাটের সমস্যার সমাধান হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন। আইপিএল নিলামে প্রথম দিন অবিক্রিত থাকার পর সেখান থেকে সরাসরি চ্যাম্পিয়ন। ঋদ্ধিমান বলছেন, হার্দিকের তাঁর ওপর আস্থার প্রতিফলন ঘটেছে তাঁর পারফরম্যান্সে। এছাড়া হার্দিকের নেতৃত্ব দক্ষতা নিয়েও উচ্ছ্বসিত হয়েছেন তিনি।
ঋদ্ধিমান জানিয়েছেন, "ক্যাপ্টেন হলে অনেকের দলের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং পারফর্ম করার খিদে বেড়ে যায়। হার্দিকের ক্ষেত্রে ঠিক এমনটাই ঘটেছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ও ৬-৭ নম্বরে ব্যাট করত। খুব বেশি হলে ৩-৪ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পেত। এখানে চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে প্রায় ৫০০-র কাছাকাছি রান করেছে। আর বোলিংয়েও এভাবে পারফর্ম করা মোটেই সহজ নয়।"