Advertisment

ভারতকে ধুয়েমুছে দিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া! বিপর্যয়ের ভরাডুবিতে মুখ পুড়ল রোহিতদের

টানা দুবার ফাইনালে পৌঁছেও ট্রফি অধরা থাকল ভারতের

author-image
IE Bangla Sports Desk
New Update
NULL

অস্ট্রেলিয়া: ৪৬৯/১০, ২৭০/৮
ভারত: ২৯৬/১০, ২৩৪/১০

Advertisment

আইসিসি ট্রফি খরা কাটল না ভারতের। ২০১৩-য় শেষবার মহেন্দ্র সিং ধোনির হাত ধরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। তারপর বারবার আইসিসি টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল, ফাইনালের গেরোয় আটকে গিয়েছে ভারতের ভাগ্য। ওভালেও সেই ভাগ্য বদলাল না। অস্ট্রেলিয়ার কাছে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করে বসল টিম ইন্ডিয়া।

সানডে ব্লকবাস্টার হওয়ার আশা জাগিয়েছিলেন বিরাট কোহলি এবং অজিঙ্কা রাহানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় টপ অর্ডার আরও একবার বিপর্যয়ের মুখে পড়ার পর কোহলি-রাহানে হাফসেঞ্চুরি পার্টনারশিপে ভারতকে আশা জাগিয়েছিলেন। অসম্ভব লক্ষ্য পূরণের লক্ষ্যে নেমেছিল টিম ইন্ডিয়া। তবে পঞ্চম দিন সেই উত্তেজনায় জল ঢেলে দিয়ে ভারতের ব্যাটিং ধুয়ে গেল মাত্র দেড় ঘন্টায়। প্ৰথম সেশনেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। প্ৰথমবার ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলতে নেমেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেল প্যাট কামিন্সের অজি ব্রিগেড। ২০৯ রানে ভারতকে হারাল অজিরা। আর ভারত টানা দুটো ফাইনালে উঠেও হোঁচট খেল ফাইনালে। প্ৰথমবার নিউজিল্যান্ডের কাছে। দ্বিতীয়বার অস্ট্রেলিয়ার কাছে সাফ রোহিতরা।

দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল শুভমান গিলের বিতর্কিত আউট সমেত রোহিত-পূজারার খারাপ শটে 'আত্মহত্যা' করে বসায়। ভারত চতুর্থ দিনেই ৯৩/৩ হয়ে যাওয়ার পরে অস্ট্রেলিয়ায় জয় ছিল হাতের মুঠোতেই। পঞ্চম দিন অস্ট্রেলিয়ার এবং জয়ের মধ্যে একাই দাঁড়িয়েছিলেন কোহলি। শেষদিন জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ২৮০ রান।

আরও পড়ুন: বারবার সুপারফ্লপ! টিম ইন্ডিয়া থেকে ‘বলির পাঁঠা’ করে বাদ দেওয়া হচ্ছে ১০০ টেস্ট খেলা সুপারস্টারকে

তবে দিনের শুরুতেই কোহলি-রাহানে আউট হয়ে যাওয়ার পর ভারতের বাকি ব্যাটিং ধসে পড়ে সহজেই। রবীন্দ্র জাদেজা এবং শার্দূল ঠাকুর কার্যত কোনও প্রতিরোধই করতে পারেননি। দুজনেই শূন্য রানে আউট হয়ে যান। নাথান লিয়ন রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বল করে ধসিয়ে দিলেন গোটা ভারতীয় ব্যাটিং। চার শিকার তাঁর নামের পাশে। পেসার স্কট বোল্যান্ড কোহলি, জাদেজা সমেত ৩ উইকেট দখল করলেন।

অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ দিন ২৭০/৮ রানয় ডিক্লেয়ার করে। আলেক্স ক্যারি অজিদের বড়সড় লিড নিতে সাহায্য করেন দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৬৬ করে। জবাবে ভারতীয় দুই ওপেনার সদর্থক ভঙ্গিতে রান চেজ শুরু করেছিলেন। প্যাট কামিন্স, স্কট বোল্যান্ডের বিরুদ্ধে শুভমান গিল, রোহিত শর্মারা বাউন্ডারির ফোয়ারা ছোটাচ্ছিলেন। তবে টি ব্রেকের ঠিক আগেই বোল্যান্ডের হালকা উঠে আসা বল গিলের ব্যাটে লেগে গালিতে উড়ে গিয়েছিল। ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যামেরন গ্রিন দুর্ধর্ষ ক্যাচ নিলেও বিতর্ক থামেনি। প্ৰথম ইনিংসেও রাহানের দুর্ধর্ষ ইনিংস থামিয়ে দিয়েছিল গ্রিনের অতিমানবিক ক্যাচ। একই ম্যাচে দুটো ক্যাচেও তিনি কার্যত ম্যাচের ফয়সালা করে দেন।

রোহিত নিজের ট্রেডমার্ক পুল শটে ভরসা জাগাচ্ছিলেন। স্টার্ক নিজের স্পেলে বল করতে এসে দ্বিতীয় বলেই রোহিতের কাছে ছক্কা হজম করে বসেন। পূজারা-রোহিতের জুটি ভাঙার জন্য লিয়নকে ২০তম ওভারে আক্রমণে আনেন প্যাট কামিন্স। আর এসেই তিনি তুলে নেন ক্যাপ্টেন রোহিতকে। রাউন্ড দ্য উইকেটে বল করতে এসে ফুলার লেন্থে বল করেছিলেন লিয়ন। সুইপ করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে লেগ বিফোর হয়ে যান ভারতীয় দলনেতা। রিভিউ নিয়েও রক্ষা পাননি তিনি। এরপরে স্বভাববিরুদ্ধভাবে প্যাট কামিন্সের শর্ট বল স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন।

Read the full article in ENGLISH

Cricket Australia Indian Cricket Team
Advertisment