ভারতীয় ব্যাটিংয়ে নাকানিচোবানি খাইয়ে দিয়েছে অজি বোলাররা। স্টার্ক-কামিন্স-বোল্যান্ডরা গুটিয়ে দিয়েছে ভারতের টপ অর্ডার। স্কোরবোর্ডে দেড়শ রান তোলার ফাঁকেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ভারতের টপ অর্ডার।
আর ভারতের ধসে পড়ার মঞ্চেই বড়সড় অভিযোগ নিয়ে আবির্ভাব ঘটল পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকা বাসিত আলির। যিনি গনগনে বিতর্কের অবতারণা ঘটিয়ে বলে দেন, বল ট্যাম্পারিং ঘটিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কোহলি এবং পূজারার আউটে স্পষ্ট হয়েছে অজিদের বল বিকৃতি ঘটানোর ব্লুপ্রিন্ট। এমনটাই জানাচ্ছেন তিনি। সরাসরি তিনি জানাচ্ছেন, ভারতীয় ইনিংসের পনেরতম ওভার থেকেই বল ট্যাম্পারিং করে অস্ট্রেলিয়া। এমন কাণ্ড ঘটিয়েই আউট করা হয় কোহলি-পূজারাকে।
পূজারা এবং কোহলিকে আউট করেন যথাক্রমে ক্যামেরন গ্রিন এবং মিচেল স্টার্ক। ১৪তম ওভারে গ্রিনের দ্বিতীয় বল লিভ করতে গিয়ে উইকেটে বল টেনে আনেন পূজারা। কোহলি আউট হন ১৯তম ওভারে। স্টার্কের আচমকা বাউন্স সামলাতে পারেননি বিরাট।
বাসিত আলি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বিষ্ফোরকভাবে বলে দিয়েছেন, "কমেন্ট্রি বক্স থেকে যারা ম্যাচ দেখছেন, আম্পায়াররা সকলের জন্য তালি হয়ে যাক। অস্ট্রেলিয়া বল নিয়ে খেলল। কেউই এই বিষয়ে কথা বলছে না। সবথেকে বড় উদাহরণ হল, ব্যাটসম্যানরা বল লিভ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে। ৫৪ ওভার পর্যন্ত শামি যখন বল করছিল, তখন বলের চকচকে অংশ বাইরের দিকে ছিল। বল স্মিথের বাইরের দিকে মুভ করছিল। এটা রিভার্স সুইং নয়। বলের ভিতরের দিক চকচকে থাকলে তখনই রিভার্স সুইং হয়। সেই সময় বল ভিতরের দিকে মুভ করে।"
"১৬, ১৭ এবং ১৮ তম ওভার ফলো করা যাক। বিরাট কোহলি যে বলে আউট হল সেই বলের সাইন দেখো। মিচেল স্টার্ক বলের চকচকে দিক বাইরের দিকে রেখে ফেলেছিল। তবে বল অন্যদিকে মুভ করল। জাদেজা লেগে বল হিট করছিল। তবে বল যাচ্ছিল পয়েন্টের ওপর দিয়ে। আম্পায়াররা কি চোখে ঠুলি পরে বসে রয়েছেন? ঈশ্বর জানেন, যাঁরা ওখানে বসে রয়েছেন, তাঁরা সহজ এই বিষয় কেন বুঝতে পারছেন না।"
পূজারা উইকেট নিয়ে বাসিত আলির পর্যবেক্ষণ, "বলের চকচকে অংশ পূজারার দিকে রেখে ফেলেছিল গ্রিন। বল তো ভিতরের দিকে ঢুকে এল। আমি পুরোপুরি বিস্মিত হয়ে গেলাম। বিসিসিআই এত বড় একটা বোর্ড। ওঁরা এটা বুঝল না? ভারত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছেছে এতেই যেন ওঁরা খুশি। ১৫-২০ ওভারে কি রিভার্স সুইং হয়? তাও আবার ডিউক বলে? কোকাবুরা বল হলেও না হয় বোঝা যেত! ডিউক বল তো ৪০ ওভার পর্যন্ত ঠিক থাকে!"
Read the full article in HINDI