ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওভালে খেলতে নামার শুরুতেই বিতর্কের ইন্ধন জুগিয়ে দিয়েছেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। কোচ রাহুল দ্রাবিড়। ওভালের সুইং নির্ভর কন্ডিশনে চার সিমার এবং এক স্পিনারে আক্রমণ সাজিয়েছে ভারত। এক স্পিনার হিসাবে জায়গা পেয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। বাইরে বসে থাকতে হয়েছে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মত সেরার সেরা স্পিনারকে।
আর ভারতের টিম সিলেকশন নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। সৌরভ আগেও অশ্বিনের অন্তর্ভুক্তির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। আর ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সৌরভের মন্তব্য নজর কেড়ে নিল।
ভারতের টপ অর্ডার ধসে যাওয়ার পর টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিংয়ের উদ্ধার কার্য চালাচ্ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা এবং অজিঙ্কা রাহানে। অজি সিমারদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই মোকাবিলা করছিলেন দুজনে। ৭৩/৪ হয়ে যাওয়ার পর স্কোরবোর্ডে ৭৩ রানের পার্টনারশিপও গড়ে ফেলেছিলেন দুজনে।
তবে দিনের শেষবেলায় ভারতকে জোরালো ধাক্কা দিয়ে যান অজি স্পিনার নাথান লিয়ন। লিয়নের ম্যাজিক বলে জাদেজা ফিরতেই সৌরভ স্পষ্ট ভাষায় ভারতের রণনীতির সমালোচনা করেন।
জাদেজা আউট হওয়ার সময় হিন্দিতে কমেন্ট্রি করছিলেন মহারাজ। সেই সময় তিনি বলে দেন, "সবুজ পিচে অফস্পিনাররা খেলতে পারে না, কে বলেছে? জাদেজাকে লিয়নের আউট করা থেকেই বিষয়টি স্পষ্ট। টেস্টে লিয়নের চারশোর বেশি উইকেট রয়েছে। এই মুহূর্তে ভারতীয় ইনিংসের সেরা ব্যাটারকে ও আউট করল। এই পিচে টার্ন এবং বাউন্স দুইই রয়েছে।
ক্রিকেট মহলের ব্যাখ্যা জাদেজার স্পিন অনেকটাই টার্ন নির্ভর। কিন্তু পিচে বাউন্স থাকলে মারাত্মক হয়ে উঠতে পারতেন অশ্বিন। অশ্বিনের ঘূর্ণি বাউন্স সামলাতে মুশকিলে পড়তেন অজিরা। এই কারণেই ভারতীয় বোলারদের বিপক্ষে ফ্রি ফ্লোয়িং ব্যাটিং করে রানের পাহাড় গড়তে সক্ষম হল।
লিয়নের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে সৌরভ আরও বলেন, "মনে রাখতে হবে, লিয়ান স্রেফ উপমহাদেশে উইকেট নেয় না। ও অস্ট্রেলিয়াতেও উইকেট তোলে। ওঁর সিম পজিশন দুর্ধর্ষ। হালকা বাউন্স ছিল আর টার্ন-ও নিল। পিচে ঘাস থাকলে বল গ্রিপ করেনা, এমনটা নয়। আমার কাছে ও অল টাইম গ্রেট।"
টেস্টের প্ৰথম দিনেও অশ্বিনের অন্তর্ভুক্তির পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন মহারাজ। প্রথম দিনের লাঞ্চব্রেকে সৌরভ সরাসরি জানিয়ে দেন, “এটা পুরোটাই আফটার থটস। আমি যদিও আফটার থটসে বিশ্বাস করি না। ক্যাপ্টেন হিসাবে টসের আগে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ভারত ঠিক করেছে চার পেসারে খেলবে। ঘটনা হল, বিগত কয়েক বছরে ভারত বিদেশে চার সিমার নামিয়ে ফলাফল পেয়েছে। টেস্ট ম্যাচও জিতেছে। তবে যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়। আমি ক্যাপ্টেন হলে, অশ্বিনের মত কোয়ালিটি স্পিনারকে বসানো আমার পক্ষে কঠিন হত। তবে আমি এবং রোহিত অধিনায়ক হিসেবে আলাদা। দু-জনের চিন্তাভাবনাও আলাদা হবে।”