ওভালে ফের একবার ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে টিম ইন্ডিয়া। পরপর উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের শেষেই ভারত আপাতত ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে বসেছে। অস্ট্রেলিয়া প্ৰথম ইনিংসে ৪৬৯ রানের বিশাল রান খাড়া করার পর ভারতের হয়ে সূচনা খারাপ করেননি দুই ওপেনার শুভমান গিল এবং রোহিত শর্মা। বাউন্ডারির পর বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আল্ট্রা এগ্রেসিভ ব্যাটিং শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার। তবে দুই ওপেনারের পাল্টা দেওয়ার কাজ বেশিক্ষণ চলেনি।
পরপর দুই ওভারে গিল এবং রোহিত শর্মা ফিরে যান। বল লিভ করতে গিয়ে আউট হয়ে যান গিল। জোড়া উইকেট পতনের পর ভারতের ইনিংসের হাল ধরেছিলেন চেতেশ্বর পূজারা এবং বিরাট কোহলি। স্কোরবোর্ডে ২০ রান যোগ করার পরেই এই জুটিতে ভাঙন ধরে। কোহলি নিজের ইনিংসে স্বচ্ছন্দেই খেলছিলেন। তবে মিচেল স্টার্কের বলের হঠাৎ আচমকা বাউন্স প্যাভিলিয়নে ফিরতে বাধ্য করে কোহলিকে। তার আগে অবশ্য পূজারা গিলের মতই বল লিভ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান।
৭৩/৪ হয়ে গিয়ে ভারতের টপ অর্ডার ধসে যাওয়ার পর পঞ্চম উইকেটে রাহানে এবং জাদেজা ভারতের ইনিংস কিছুটা উদ্ধার করেন। তবে দিনের শেষবেলায় নাথান লিয়নের বলে জাদেজা আউট হয়ে যাওয়ায় ভারতীয় ইনিংস আপাতত সেই কোমাতেই।
যাইহোক, চূড়ান্ত যুদ্ধে ভারতের টপ অর্ডারের এমনভাবে ভেঙে পড়ায় ক্ষুব্ধ ক্রিকেট মহল। দিনের শেষে সমর্থকদের গনগনে ক্ষোভের মুখে পড়ে গিয়েছেন স্বয়ং বিরাট কোহলি। ভারতীয় ইনিংসের ২১ তম ওভারে ক্যামেরা প্যান করেছিল টিম ইন্ডিয়া ড্রেসিংরুমের দিকে। সেই সময়ে কোহলিকে দেখা যায় প্লেট ভর্তি খাবার নিয়ে ঈশান কিষান, ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোরের সঙ্গে হালকা মেজাজে আলোচনা করছেন। ভারতীয় ইনিংস যে মাঠে চরম গাড্ডায় তাঁদের অভিব্যক্তি দেখে অবশ্য বোঝার উপায় নেই। সকলকেই হাসি-ঠাট্টা করতে দেখা গিয়েছে।
এতেই কোহলিদের জাতীয় প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সমর্থকরা। তুলনা করা হয়েছে, শচীন তেন্ডুলকরে সঙ্গেও। বলা হচ্ছে, শচীন ২০০৭-এর বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর এক সপ্তাহ নিজের ঘরে বন্দি ছিলেন। খাবার দাবার-ও অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল। অনেকেই বলছেন, স্রেফ পরিসংখ্যানের আস্ফালন দেখিয়ে শচীন তেন্ডুলকরকে ছোয়া সম্ভব নয়। জাতীয় দলের প্রতি দুজনের দায়বদ্ধতাই আলাদা করে দেবে দুজনকে।
সবমিলিয়ে কোহলি-র খাবার দাবার আর হালকা মেজাজ যে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি করল, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।