২৪ ঘন্টাও হয়নি জাতীয় মহিলা দলের কোচের চেয়ারে ফেরানো হয়েছে রমেশ পাওয়ারকে। তারপরেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাহুল দ্রাবিড়কে চিঠি লিখলেন স্বয়ং ডব্লিউ ভি রমন। নালিশ করলেন, জাতীয় দলে এখনো তারকা প্রথা চলছে। এটা শীঘ্রই বন্ধ হওয়া দরকার।
বিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা কমিটি একদিন আগেই রামনকে সরিয়ে মহিলা দলের দায়িত্বে নিয়ে এসেছে রমেশ পাওয়ারকে। গত বছরে টি২০ বিশ্বকাপে জাতীয় দলকে ফাইনালে তুললেও কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
আরো পড়ুন: হাসপাতাল বেড পাওয়া এত শক্ত! কোভিড যুদ্ধে বিস্মিত ক্রিকেটের ‘সোনু সুদ’ বিহারি
রমনের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, "রামন সবসময়েই ব্যক্তিবিশেষের আগে দলের স্বার্থকে প্রাধান্য দেন। সবসময়েই বলে এসেছেন, কেউই দলের ঊর্ধ্বে নয়। তারপরেই রামন দাদা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন। জানিয়েছেন, কেউ যদি এই ক্রিকেট সংস্কৃতিতে মানিয়ে নিতে না পারে, তাহলে জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন হিসাবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিক।"
জাতীয় মহিলা দলে এর আগে একাধিকবার কোচকে ছাঁটাই করা হয়েছে, অথবা কোচ সরে দাঁড়িয়েছেন। তারকা ক্রিকেটার, বিশেষ করে মিতালি রাজের সঙ্গে একাধিক কোচের বনিবনা হয়নি। এই তালিকায় রয়েছেন সদ্য প্রাক্তন রামন থেকে সদ্য নিযুক্ত কোচ রমেশ পাওয়ারও। কোচ রামনের বক্তব্য তারকা প্রথার জন্যই মহিলা ক্রিকেট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
রমনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে জানা গিয়েছে সৌরভকে ইমেল করার সঙ্গেই তিনি 'সিসি'-তে রেখেছেন এনসিএ ডিরেক্টর রাহুল দ্রাবিড়কেও। রামনের বিরুদ্ধে সবথেকে বড় অভিযোগ ছিল তিনি কোচ হিসেবে সেভাবে সক্রিয় ছিলেন না। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, একই দিনে আমিরশাহির গরমে দুপুর ১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মহিলাদের আইপিএলে তিনটে পৃথক ট্রেনিং সেশন (ট্রেইলব্লেজার্স, সুপারনোভা এবং ভেলোসিটি) পরিচালনা করতেন। তাঁর বক্তব্য, বোর্ডের সচিব জয় শাহ এবং সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যদি তাঁর বক্তব্য শুনতে রাজি হন, তিনি সামনাসামনি বসতে প্রস্তুত।
কেন তিনি রাহুল দ্রাবিড়কেও এই বিষয়ে জানিয়েছেন, তাঁর ব্যাখ্যাও মিলেছে। কারণ রামন সবসময় বিশ্বাস করেন, মহিলাদের জন্য ট্রেনিং গাইডলাইন ঠিক করার ক্ষেত্রে একদম উপযুক্ত ব্যক্তি রাহুল দ্রাবিড়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন