India Vs Australia 4th Test: মেলবোর্নে ভারতকে নাটকীয়ভাবে হারিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। আর পঞ্চম দিনে রুদ্ধশ্বাস বিতর্ক হিসাবে আবির্ভূত হল যশস্বী জয়সওয়ালের বিতর্কিত ডিআরএস সিদ্ধান্ত। প্যাট কামিন্সের বাউন্সারে হুক করার চেষ্টা করেছিলেন। রিপ্লেতে দেখা যায় বল পন্থের গ্লাভসের আঙ্গুল লেগে থাকা অংশ স্পর্শ করে উইকেটকিপার এলেক্স ক্যারির কাছে পৌঁছয়।
বারবার রিপ্লে দেখেও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। টিভি আম্পায়ার দীর্ঘক্ষণ দেখে পাশের অংশ থেকে সিদ্ধান্তে আসার চেষ্টা করেন। তবে সেখানেও দেখা গিয়েছে বল যশস্বীর গ্লাভসের আঙুলে স্পর্শ করছে। যদিও তা স্নিকোয় ধরা পড়েনি।
তার আগে ধীরস্থির ইনিংসে জয়সওয়াল ৮৪ করে ক্রিজে টিকে ছিলেন। পুরো ঘটনায় ক্ষুব্ধ সুনীল গাভাসকার। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় গাভাসকার বলে দিয়েছেন, "যদি আপনি প্রযুক্তি ব্যবহার করেন, তাহলে প্রযুক্তির ওপরেই ভরসা রাখুন। আমি যা দেখছি, সেটা আসলে বিভ্রম। এটা পুরোপুরি বিভ্রম। স্নিকোয় কী দেখা গিয়েছে? পুরোপুরি সোজা রেখা ছিল স্নিকোয়। তাই এটা একদমই নটআউট।"
"আমার মতে এটা পুরোপুরি নটআউট। যদি স্নিকোয় কিছু ধরা পড়ত, তাহলে সেটা আলাদা বিষয়। এটা ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এরকম হলে প্রযুক্তি ব্যবহার করার কোনও অর্থই নেই। যদি আমরা বিভ্রমের বশে সিদ্ধান্তে উপনীত হই, তাহলে প্রযুক্তির ব্যবহার বন্ধ হোক।
চ্যানেল ৭-এ সাইমন টাফেল: "আমার মতে, সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল। তৃতীয় আম্পায়ার শেষ পর্যন্ত সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন, প্রযুক্তিগত প্রোটোকল অনুযায়ী, আমাদের একটি প্রমাণ পদ্ধতি থাকা দরকার। যখন আম্পায়ার ব্যাট থেকে স্পষ্ট ডিফ্লেকশন দেখতে পান, তখন অন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না।"
"স্পষ্ট ডিফ্লেকশনই চূড়ান্ত প্রমাণ। এই ক্ষেত্রে, তৃতীয় আম্পায়ার একটি অতিরিক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন, যা স্পষ্ট অডিও প্রমাণ দিতে পারেনি। তবে তিনি শেষে ডিফ্লেকশন দেখেই মাঠের সিদ্ধান্ত বদলেছেন। তাই, এটি সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল।"
"আমি দেখছি বলটি গ্লাভসে লেগেছে। জোয়েল, তোমার সিদ্ধান্ত বদলাতে হবে।"
রিকি পন্টিংয়ের বক্তব্য: "যে যা খুশি বলতে পারে। বল স্পষ্ট গ্লাভসে লেগেছিল। সেই মুহূর্তেই এটি ধরতে পেরেছিলাম। জয়সওয়াল সঙ্গেসঙ্গেই হাঁটা শুরু করেছিল। যখন অস্ট্রেলিয়ানরা রিভিউ নেয়, ও কয়েক ধাপ দূরে সরতে শুরু করেছিল।"
"স্নিকো এটি প্রমাণ করতে পারেনি, কিন্তু আম্পায়ার ডিফ্লেকশন শনাক্ত করে বলটি গ্লাভস স্পর্শ করেছিল বলে ধরে নিয়েছেন। আমার মতে, এ বিষয়ে কোনো বিতর্কের অবকাশই নেই।"
রবি শাস্ত্রীর বক্তব্য: "আমার মনে হয় সিদ্ধান্ত বদলানোর জন্য তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ থাকা উচিত। নিশ্চিত হতে হবে যে যে ব্যাট বলকে স্পর্শ করেছে এবং বলের গতির অভিমুখে গিয়েছে- এটাই চূড়ান্ত প্রমাণ। এমন সিদ্ধান্ত খুব কমই হয়। পার্থে কেএল রাহুলের বিরুদ্ধে নেওয়া সিদ্ধান্তটিও ভুল ছিল।"
স্নিকোয় কেন ধরা পড়ল না স্পর্শের রেখা?
স্নিকো প্রযুক্তি যে সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করে সেই বিবিজির কর্ণধার ওয়ারেন ব্রেনান বলেছেন, "এটা এমন একটা গ্ল্যান্স শট ছিল যার শব্দ ধরতে পারেনি স্নিকো। ওখানে কেবলমাত্র পারিপার্শ্বিক শব্দ ধরা পড়েছে। অডিও ডিরেক্টরের সঙ্গেও কথা বলেছি। উনিও কনফার্ম করেছেন কোনও।শব্দ হয়নি। হয়ত হটস্পট এই ঘটনার সমাধান করতে পারত।"