ফিরে দেখা 'বাচ্চা ছেলে' বিরাটের প্রথম টিভি সাক্ষাৎকার

দেখলে তখনও মনে হয় গাল টিপলে দুধ বেরোয়, কিন্তু সেই বয়সেও তাঁর ক্রিকেট জ্ঞান এবং আগামির প্রতিশ্রুতি খুব ভালমতোই বোঝা গিয়েছিল।

দেখলে তখনও মনে হয় গাল টিপলে দুধ বেরোয়, কিন্তু সেই বয়সেও তাঁর ক্রিকেট জ্ঞান এবং আগামির প্রতিশ্রুতি খুব ভালমতোই বোঝা গিয়েছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
virat kohli age

বিরাট কোহলি, কাল এবং আজ

বয়স তখন অল্পই, কিন্তু বিরাট কোহলির ইতিমধ্যেই দিল্লির ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট মহলে যথেষ্ট নামডাক। তামিল নাড়ুর বিরুদ্ধে দিল্লির হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক ২০০৬ সালের নভেম্বরে, বয়স তখন সবে ১৮ ছুঁয়েছে।

Advertisment

সেই ইনিংসে ১০ রান করেছিলেন তিনি, অতএব কেউ তেমন লক্ষ্য করেন নি, কিন্তু তার পরের মাসেই চলে আসেন সংবাদ শিরোনামে। একদিন আগেই পিতৃহারা হয়েছেন, পরের দিন কর্ণাটকের সঙ্গে দিল্লির খেলা। বিরাট সেই ম্যাচে খেললেন শুধু নয়, ৯০ রান করলেন। ওই বয়সে ওই পরিপক্কতা যে খুব বেশি দেখা যায় না, বলাই বাহুল্য।

দেখলে তখনও মনে হয় গাল টিপলে দুধ বেরোয়, কিন্তু সেই বয়সেও তাঁর ক্রিকেট জ্ঞান এবং আগামির প্রতিশ্রুতি খুব ভালমতোই বোঝা গিয়েছিল।

Advertisment

আজ, মঙ্গলবার, ৩১ বছর পূর্ণ হলো বিরাটের। সেই উপলক্ষ্যে আজ ফিরে দেখা টিভিতে দেওয়া তাঁর প্রথম সাক্ষাৎকারগুলির একটি।

দিল্লি রাজ্য দলের সতীর্থ পুনিত বিশ্তের সঙ্গে এই সাক্ষাৎকারে বিরাট ২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের সম্ভাব্য পারফরম্যান্সের বিশ্লেষণ করছেন, এবং রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে ভারত কাপ জিততে পারবে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা করছেন। "একসঙ্গে একটি ইউনিট হিসেবে খেলার ওপর নির্ভর করছে সাফল্যের পরিমাণ," বলছেন সদ্যতরুণ বিরাট।

বীরেন্দ্র সেহওয়াগের নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক চলেছিল সেইসময়, এবং প্রধান নির্বাচক দিলীপ বেঙ্গসরকর জানিয়েছিলেন, অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়ের জোরাজুরিতেই দলে রাখা হয় সেহওয়াগকে। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিরাট বলছেন, নির্বাচকের ওই ধরনের মন্তব্য করা উচিত হয় নি, কারণ তাতে খেলোয়াড়ের মনে আঘাত লাগার সম্ভাবনা।

এছাড়াও ভারত কেন পাঁচজন বোলার না খেলিয়ে একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলায়, তা নিয়েও মন্তব্য করতে শোনা যায় বিরাটকে। "ভারত অতীতে খুব ভালো ডিফেন্ড করে নি। কাজেই পাঁচজন বোলার ডিফেন্ড করতে পারবে না। ভারতের শক্তি হলো ব্যাটিং, এবং যে কোনও টার্গেট তাড়া করে ধরে ফেলা।" মজার কথা হলো, বিরাটের নেতৃত্বেই সাম্প্রতিক অতীতে পাঁচ বোলার খেলিয়েছে ভারত।

ক্রিকেটারদের কতটা মিডিয়ার চাপ সহ্য করতে হয়, সেই প্রসঙ্গে ভিডিওটিতে বিরাট বলছেন, "যত বড় প্লেয়ারই হোক না কেন, মিডিয়ার চাপ আছেই। শচীন তেন্ডুলকরকে পর্যন্ত সহ্য করতে হয়েছে। নিজেকে প্রভাবিত হতে দিলে মনস্তত্ত্বের ওপর চাপ পড়বেই।"

২০০৭ বিশ্বকাপের আগে বিরাটের মূল্যায়ন ছিল, যে কোনও খেলার মোড় ঘোরাতে পারেন যুবরাজ সিং এবং জাহির খান। এর কয়েক মাস পরেই ভারতের সফল টি২০ বিশ্বকাপ অভিযানের মূল কাণ্ডারি হন যুবরাজ, এবং ২০১১-র বিশ্বকাপে ভারতের জয়ের পেছনে অনবদ্য অবদান রেখে যান জাহির।

Virat Kohli