ক্রিকেট কেরিয়ারে ইতি টেনেছেন গতবছরেই। ১৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারে একাধিক অধিনায়কের নেতৃত্বেও খেলেছেন তিনি। তবে এবার যুবরাজ সিং জানিয়ে দিলেন তাঁর প্রিয় ক্যাপ্টেন কে! ৩৮ বছরের তারকা জানিয়ে দেন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে খেলা তিনি সবথেকে বেশি উপভোগ করতেন।
মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ভারতীয় বিশ্বকাপজয়ী স্কোয়াডে তিনি ছিলেন। সেই বিশ্বকাপে তিনি টুর্নামেন্ট সেরার খেতাবও ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। তবে যুবরাজ বলছেন, সৌরভের নেতৃত্বেই খেলেই তাঁর স্মৃতির ভাঁড়ার পরিপূর্ণ।
স্পোর্টসস্টারের এক ইন্টারভিউতে যুবরাজ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, "সৌরভের অধীনে আমি খেলেছি। ওঁর কাছ থেকে অনেক ভরসা পেয়েছি। সৌরভের সঙ্গে খেলাই আমার স্মৃতিতে বেশি অমলিন হয়ে রয়েছে। কারণ ও আমাকে সবথেকে বেশি সমর্থন করতো। এই ধরনের সমর্থন মাহি কিংবা বিরাটের কাছ থেকে পাইনি।"
৩০৪টি ওডিআই ম্যাচে জাতীয় দলের জার্সিতে খেলে ৮৭০১ রান তাঁর দখলে। এর মধ্যে ১৪টি শতরানও হাঁকিয়েছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মুথাইয়া মুরলিধরণ তাঁর দেখা সবথেকে কঠিন বোলার। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলছেন, "মুরলিকে খেলতে বারেবারেই সমস্যায় পড়তাম। তবে শচীন বলেছিল, সুইপ করতে। তারপরে স্বছন্দে খেলতে পারতাম।"
July 13, 2002 - #TeamIndia won the NatWest series final #ThisDayThatYear @MohammadKaif @ImZaheer @YUVSTRONG12 @SGanguly99. That epic moment - Etched forever!pic.twitter.com/jKeFXEmCgk
— BCCI (@BCCI) July 13, 2018
পাশাপশি তিনি বলছেন, "গ্লেন মাকগ্রাথের আউটগোয়িং ডেলিভারি বেশ সমস্যায় ফেলতো। তবে মাকগ্রাথের বিপক্ষে বেশি খেলতে হয়নি। কারণ, ডাগ আউটে বসে টেস্টে দলের সিনিয়রদের চিয়ার করতাম।"
২০১১ বিশ্বকাপ একাই মাতিয়ে দিয়েছিলেন। এর আগেও একাধিক স্মরনীয় ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন দলকে। ২০০৭ সালে ব্যাঙ্গালোরেই যেমন দুরন্ত ১৬৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। পুরোনো স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে যুবরাজ বলে দিচ্ছেন, "ব্যাঙ্গালোরের ১৬৯ ও বিশ্বকাপের কোয়াটারফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৫৭ তীব্র চাপের মুখে এসেছিল। স্টুয়ার্ট ব্রডের বিপক্ষে ছয় ছক্কাও স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।"
২০১১ বিশ্বকাপ, ব্রডের ছয় ছক্কা ছাড়াও যুবরাজের বহু কীর্তি এখনও ক্রিকেটের রূপকথা। ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালেই যেমন। মোহাম্মদ কাইফের সঙ্গে ১২১ রানের পার্টনারশিপে অলৌকিক জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন তিনি।
বিস্বক্রিকেট মাতিয়ে গত বছরের জুনেই অবসর নিয়ে ফেলেন তিনি। অবসরের প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, "দেশের জার্সিতে ৪০০ টি ম্যাচ খেলে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হয়। প্রথম যখন ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলাম, এমনটা ভাবতেই পারতাম না।"