আইপিএল-এর জন্য প্রস্তুত যুবরাজ সিং। প্র্যাকটিস ম্যাচে সেকথা বুঝিয়ে দিলেন তিনি। ধ্বংসাত্মক মেজাজে ওয়ার্ম-আপে পাওয়া গেল যুবিকে। ১২টি ছয়ের সুবাদে ঝকঝকে ১২৫ রান করলেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। যুবির মারের হাত থেকে বাদ গেলেন না কেউ। স্পিনারদের পাশাপাশি পেসারদের বলও মাঠের বাইরে পাঠালেন পাঞ্জাব পুত্তর। জানা যাচ্ছে মাত্র ৩৫ বলেই ১২৫ রান করেছেন বিশ্বকাপের ম্যান অফ দ্য সিরিজ। যুবি ছাড়াও প্র্য়াকটিস ম্যাচে ঝলসালেন লোকেশ রাহুল। অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।
Advertisment
শেষ দু মরশুম সানরাইজার্স হায়দরাবাদে কাটানো যুবিকে এবার ২ কোটি টাকায় দলে নিয়েছে প্রীতি জিন্টার ফ্র্যাঞ্চাইজি। কিংসের জার্সিতেই আইপিএল কেরিয়ার শুরু করেন যুবি। ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত পাঞ্জাবেই ছিলেন তিনি। আইপিএল-এ নিজের প্রথম দলেই প্রত্যাবর্তন করলেন যুবরাজ। কিংসের মিডল-অর্ডারে শক্তি বাড়িয়েছে যুবির উপস্থিতি। মায়াঙ্ক আগরওয়াল, মার্কাস স্টোইনিস, ডেভিড মিলার. মনোজ তিওয়ারিদের সঙ্গে তাঁর পার্টনারশিপ জমে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আইপিএল-এ যুবির ব্য়াট থেকে এখনও পর্যন্ত ২,৫৮৭ রান এসেছে ২৫.৬১-এর গড়ে। এক ডজন হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ১৩১.১৮-এর স্ট্রাইক রেট রয়েছে তাঁর। আইপিএল-এ সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকানো ব্যাটসম্যানদের তালিকায় যুবি রয়েছেন ১০ নম্বরে। শুধু ব্যাটেই নয়, বল হাতেও এই টুর্নামেন্টে সফল তিনি। দুটি হ্যাটট্রিক সমেত ৩৬টি উইকেট রয়েছে যুবরাজের ঝুলিতে। আগামী রবিবার দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে আইপিএল অভিযান শুরু হচ্ছে পাঞ্জাবের। অবশ্যই চোখ থাকবে যুবরাজের দিকে।
যুবারজ সিংয়ের কথা বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে একজন প্রকৃত যোদ্ধার কথা। ২০১১-তে দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোর পরেই ক্যান্সারের মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হন তিনি। বিদেশেই তাঁর চিকিতসা চলে। এরপর ফের ২০১২-তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন তিনি।