বুধবার ভোর রাত থেকে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। রটে গিয়েছিল হিথ স্ট্রিক নাকি প্রয়াত হয়েছেন। জিম্বাবোয়ান কিংবদন্তিকে ঘিরে শোকের আসর বসে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনিল কুম্বলে, রবিচন্দ্রন অশ্বিন থেকে স্কট স্টাইরিস, হেনরি ওলোঙ্গা, শন উইলিয়ামস সহ ক্রিকেট বিশ্বের রথী মহারথীরা দুঃখের বার্তায় ভরিয়ে ফেলেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট।
তবে সকাল গড়াতেই বোঝা গেল হিথ স্ট্রিক বহাল তবিয়তেই রয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর খবর নিয়ে আপডেট সমস্ত কিছুই গুজব। হিথ স্ট্রিকের জাতীয় দলের প্রাক্তন সতীর্থ হেনরি ওলোঙ্গা কনফার্ম করেন, তাঁর বন্ধু জীবিত রয়েছেন।
ওলোঙ্গা নিজের হোয়াটসআপ চ্যাটের স্ক্রিন শট শেয়ার করে লেখেন, "নিশ্চিত করে বলতে পারি, হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর খবর একদমই অতিরঞ্জিত। ওঁর সঙ্গে এই মাত্র কথা হল। থার্ড আম্পায়ার ওঁকে পুনরায় ডেকেছেন। বন্ধুরা ও ভালোভাবেই রয়েছে।"
ঘটনাচক্রে হেনরি ওলোঙ্গাই সর্বপ্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর খবর চাউর করেন। জিম্বাবোয়ান প্রাক্তন পেসার লিখে দেন, "দুঃখের খবর ভেসে আসছে। হিথ স্ট্রিক সীমানা অতিক্রম করে অন্যপ্রান্তে চলে গিয়েছেন। রেস্ট ইন পিস লেজেন্ড। আমাদের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার। তোমার সঙ্গে খেলতে পারাটা দারুন ব্যাপার ছিল। আমার বোলিং স্পেল খতম হলেই অন্য কোথাও দেখা হবে।"
২০০০-২০০৪ সালে জিম্বাবোয়ের জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন ছিলেন হিথ স্ট্রিক। ৬৫ টেস্ট খেলার পাশাপাশি ১৮৯টি ওয়ানডেও খেলেছেন তিনি।
ক্যানসার ধরা পড়ার পরেই দক্ষিণ আফ্রিকার নামি ক্যান্সার-বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে দাপুটে জিম্বাবোয়ানের।
২০০৫-এ ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। ২২.২৫ গড়ে ১৯৯০ রান এবং ২৮.১৪ গড়ে ২১৬ উইকেট তাঁর টেস্ট ক্রিকেটের প্রোফাইলে। সাদা বলের ক্রিকেটেও ভেলকি দেখিয়েছেন তিনি। ২৯৪৩ রান করার পাশাপাশি ২৩৯ উইকেট দখল করেছেন।
২০২১-এ দুর্নীতি সংক্রান্ত নিয়মবিধি ভঙ্গ করায় স্ট্রিককে ক্রিকেট থেকে বহিষ্কার করে আইসিসি। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক স্তরে বহু দলের কোচিংয়ে যুক্ত ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ, জিম্বাবোয়ে তো বটেই, কেকেআরের মত আইপিএলে নামি দলের কোচও ছিলেন তিনি।