Advertisment

জিদানের সেই গুঁতো! অবশেষে নেপথ্য কাহিনী জানালেন মাতেরাৎজি

আন্তর্জাতিক ফুটবলে তাঁর শেষ ম্যাচে ফ্রান্সের কিংবদন্তী মিডফিল্ডার জিনেদিন জিদান ফাইনাল ম্যাচের এক্সট্রা-টাইমে মাতেরাৎজির সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
zidane materazzi headbutt

গুঁতো-পরবর্তী দৃশ্য

ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় যে কয়েকটি ঘটনা, তার মধ্যে ২০০৬ সালে ফ্রান্সের তারকা জিনেদিন জিদানের মাথা দিয়ে ইতালির ডিফেন্ডার মারকো মাতেরাৎজি-কে সজোরে গুঁতিয়ে দেওয়া নিঃসন্দেহে একটি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তাঁর শেষ ম্যাচে ফ্রান্সের কিংবদন্তী মিডফিল্ডার ফাইনাল ম্যাচের এক্সট্রা-টাইমে মাতেরাৎজির সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন, এবং মাতেরাৎজি তাঁকে এমন কিছু বলেন যার ফলে জিদান সটান মাতেরাৎজির বুকে মাথা দিয়ে প্রবল একখানা ঢুঁ মারেন।

Advertisment

নিট ফল: জীবনের শেষ ম্যাচে লাল কার্ডের কলঙ্ক মাথায় নিয়ে মাঠ ছাড়েন জিদান, এবং পেনাল্টি শুটআউটে ফাইনাল জেতে ইতালি। মজার ব্যাপার হলো, নিয়মিত সময়ের শেষে স্কোর ছিল ১-১, এবং গোল দুটি করেছিলেন যথাক্রমে জিদান ও মাতেরাৎজি।

কুখ্যাত এই ঘটনা নিয়ে এযাবতকাল বহু জলঘোলা তথা জল্পনা হয়েছে। প্রথমে বলা হয়েছিল, জিদানের মায়ের সম্পর্কে অবমাননাকর কথা বলেন মাতেরাৎজি, যার ফলে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন ফরাসি তারকা। তবে ২০১৭ সালে মাতেরাৎজি স্বয়ং একথা অস্বীকার করে বলেছিলেন, "আমার মাকে আমি হারিয়েছি ১৫ বছর বয়সে। আমি কোনোদিন কারোর মাকে অসম্মান করতে পারি না। আমি ওর বোন সম্পর্কে বলেছিলাম।"

কিন্তু কী বলেছিলেন? অবশেষে, ঘটনার ১৪ বছর পর, ফের একবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন মাতেরাৎজি। ইতালিয় সংবাদমাধ্যম PassioneInter-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, "জিদানের মাথা দিয়ে গুঁতো? সেই মুহূর্তে একেবারেই তৈরি ছিলাম না। পুরো ঘটনাটার জন্যই অপ্রস্তুত ছিলাম ভাগ্যিস, কারণ আমি তৈরি থাকলে যে আমাদের দুজনকেই রেড কার্ড দেখানো হতো, এটা নিশ্চিত।"

ইতালির ডিফেন্ডার আরও বলেছেন, "এর আগে মাঠেই আমাদের মধ্যে কিছু খুচরো আদানপ্রদান হচ্ছিল। ফার্স্ট হাফে ফ্রান্সের হয়ে জিদান গোল করার পর আমাদের কোচ (মারসেলো লিপ্পি) আমাকে বলেছিলেন ওকে মার্ক করতে। প্রথমবার আমাদের মধ্যে ঠোকাঠুকি হওয়ার পর আমি ক্ষমা চাই, কিন্তু ওর প্রতিক্রিয়া ভালো ছিল না। দেরিতে ট্যাকল, বাগবিতণ্ডা, চলতে থাকে ১১০ মিনিট পর্যন্ত, তারপর চরমে ওঠে। তৃতীয়বার ধাক্কাধাক্কির পর আমার মুখের ভাব দেখে জিদান আমাকে বলে, 'আমার জার্সিটা দিয়ে দেব তোমাকে পরে।' আমি বলি যে জার্সিতে আমার কোনও আগ্রহ নেই, বরং বোনকে দিলে নিয়ে নেব।"

ব্যস, এই একটি কথাতেই মাথায় আগুন জ্বলে যায় জিদানের। এবং টেলিভিশনের কল্যাণে তার পরবর্তী ঘটনার সাক্ষী থাকে সারা দুনিয়া।

তবে বিশ্বকাপের বেশ কিছু বছর পরে এই ঘটনা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন জিদান। "২০০৬ বিশ্বকাপে যা হয়েছিল, তা নিয়ে গর্বিত নই আমি। কাউকে (কোনও খেলোয়াড়কে) বলব না, এই আচরণ করতে।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Advertisment