Cheapest Bike: এক লিটার পেট্রোলে ১৭৬ কিমি মাইলেজ, বিশ্বের প্রথম ৬ স্ট্রোক ইঞ্জিনবাইক! টেসলাকেও ছাড়িয়ে গেল ভারতীয় আবিষ্কার

Cheapest Bike: এক লিটার পেট্রোলে পাবেন ১৭৬ কিমি মাইলেজ! বিশ্বের প্রথম ৬-স্ট্রোক ইঞ্জিনের বাইক তৈরি করে নজির গড়লেন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের শৈলেন্দ্র সিং গৌর।

Cheapest Bike: এক লিটার পেট্রোলে পাবেন ১৭৬ কিমি মাইলেজ! বিশ্বের প্রথম ৬-স্ট্রোক ইঞ্জিনের বাইক তৈরি করে নজির গড়লেন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের শৈলেন্দ্র সিং গৌর।

author-image
IE Bangla Tech Desk
New Update
176 km mileage on 1 litre petrol, world’s first 6-stroke engine bike! Surpasses even Tesla

এক লিটার পেট্রোলে ১৭৬ কিমি মাইলেজ, বিশ্বের প্রথম ৬ স্ট্রোক ইঞ্জিন বাইক

Cheapest Bike: এক লিটার পেট্রোলে পাবেন ১৭৬ কিমি মাইলেজ! বিশ্বের প্রথম ৬-স্ট্রোক ইঞ্জিনের বাইক তৈরি করে নজির গড়লেন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের শৈলেন্দ্র সিং গৌর। দীর্ঘ ১৮ বছরের গবেষণা, কঠোর পরিশ্রম আর একরাশ ত্যাগের ফলেই এই অভিনব প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দাবি করেছেন তিনি। শৈলেন্দ্রর দাবি, এই ৬-স্ট্রোক ইঞ্জিন অটোমোবাইল জগতে নতুন বিপ্লব আনতে চলেছে, যা টেসলার মতো বৈদ্যুতিক প্রযুক্তিকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।

Advertisment

বিজ্ঞান স্নাতক শৈলেন্দ্র জানান, এই ইঞ্জিন শুধু মাইলেজই বাড়ায় না, বরং বাইকের শক্তি তিনগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। তার কথায়, এক লিটার পেট্রোলে বাইক চলবে প্রায় ১৭৬ কিমি, ধোঁয়া ও দূষণ থাকবে নামমাত্র। এমনকি যেকোনও জ্বালানি—পেট্রোল, ডিজেল, সিএনজি বা ইথানল—এই ইঞ্জিনে ব্যবহার করা সম্ভব।

শৈলেন্দ্র নতুন কোনও বাইক তৈরি করেননি। পুরোনো বাইকের ইঞ্জিন ভেঙে ৪-স্ট্রোকের পরিবর্তে ৬-স্ট্রোক প্রযুক্তি যুক্ত করেছেন তিনি। তার দাবি, এই ইঞ্জিন পরিবেশবান্ধব, জ্বালানি সাশ্রয়ী ও সম্পূর্ণ টেকসই।

Advertisment

তবে এই সাফল্যের জন্য তাকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। বাইক তৈরির খরচ জোগাতে নিজের পৈতৃক বাড়ি পর্যন্ত বিক্রি করেছেন শৈলেন্দ্র। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার। তার তিন সন্তানের পড়াশোনাও ব্যাহত হয়েছে। কিন্তু পরিবারও স্বপ্ন পূরণে পাশে থেকেছে।

শৈলেন্দ্রর এখন বড় কোনও সংস্থার সহযোগিতা চান, যাতে এটির ব্যাপক উৎপাদন সম্ভব হয়। তার মতে, গাড়ি, বাস, ট্রাক থেকে শুরু করে জাহাজ পর্যন্ত এই প্রযুক্তি ব্যবহার সম্ভব হলে ভারতের অর্থনীতিতেই বড় পরিবর্তন আসবে।

শৈলেন্দ্র একসময় টাটা মোটরসে চাকরি করলেও তা ছেড়ে দেন। পরে এমএনআইটি এলাহাবাদ ও আইআইটি-বিএইচইউর ল্যাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে ইঞ্জিন প্রযুক্তি আয়ত্ত করেন। প্রায় দু দশকের প্রচেষ্টার পর তিনি দাবি করছেন— বিশ্বের সবচেয়ে সাশ্রয়ী ইঞ্জিন এখন ভারতের হাতেই।

bike