ডার্ক ওয়েবের কাছে কোটি কোটি মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ৭৫,০০০ টাকায় বেচে দিয়েছে ট্রু কলার?

বিক্রি হওয়া ব্যবহারকারীর ডেটাতে মোবাইল নম্বর, লিঙ্গ, শহর, মোবাইল নেটওয়ার্ক, ফেসবুক আইডি এবং আরও কিছু ব্যক্তিগত বিবরণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বিক্রি হওয়া ব্যবহারকারীর ডেটাতে মোবাইল নম্বর, লিঙ্গ, শহর, মোবাইল নেটওয়ার্ক, ফেসবুক আইডি এবং আরও কিছু ব্যক্তিগত বিবরণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

একটি অনলাইন গোয়েন্দা সংস্থা সাইবেল একটি প্রতিবেদনে বলেছে, ডার্ক ওয়েবের কাছে ৪.৭৫ কোটি ভারতীয়র বেশ কিছু ব্যক্তিগত ডেটা ৭৫,০০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, যে ট্রুইকলারের ডেটাবেস থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তবে সংস্থা এই দাবি অস্বীকার করে। ইমেল মারফত এক বিবৃতিতে ট্রুইকলার বলেছে, তাদের ডাটাবেস কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করেনি এবং ব্যবহারকারীর সমস্ত তথ্য নিরাপদে সংরক্ষণ করা আছে।

Advertisment

publive-imagepublive-imagepublive-image

ট্রুইকলারের এক মুখপাত্র বলেছেন, "আমরা আমাদের ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা এবং আমাদের পরিষেবার নিখরচাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখি। সন্দেহজনক কিছু নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে তা পর্যবেক্ষণ করা হয়।" সাইবেল তার ব্লগে উল্লেখ করেছে, “আমাদের গবেষকরা একজন নামী বিক্রয়কারীকে চিহ্নিত করেছেন, যিনি ৪.৭৫ কোটি ভারতীয়ের ট্রুইকলার রেকর্ড মাত্র ৭৫,০০০ টাকায় বিক্রি করছেন। ডেটা ২০১৯ সালের। এত কম দামে ব্যাক্তিগত তথ্য বিক্রি, যা দেখে আমরাও অবাক হয়েছি।”

ব্লগ পোস্টে সাইবেল উল্লেখ করেছেন, বিক্রি হওয়া ব্যবহারকারীর ডেটাতে মোবাইল নম্বর, লিঙ্গ, শহর, মোবাইল নেটওয়ার্ক, ফেসবুক আইডি এবং আরও কিছু ব্যক্তিগত বিবরণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সাইবেল গবেষকরা তাদের বিশ্লেষকদের প্রর্যবেক্ষকদের পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছে। তারা আরও জনিয়েছে, এই ফাঁস ভারতের বিস্তৃত ব্যবহারকারীর কেলেঙ্কারী, পরিচয় চুরি ইত্যাদির উপর সম্ভাব্য প্রভাব ফেলতে পারে। আমরা আরও তথ্য পাওয়ার পর এই ব্লগটি আপডেট করব,”।

Advertisment

আরও স্পষ্ট করে ট্রুইকলার জানিয়েছে, ২০১২ সালের মে মাসে তাদের ডেটা বিক্রির বিষয়ে অবহিত করা হয়েছিল। মুখপাত্র উল্লেখ করেছেন, “ এখানে সম্ভবত আগের মতোই একই ডেটাসেট রয়েছে। এতে ট্রুইকলার স্ট্যাম্প লাগানো সহজ। যার ফলে ক্রেতাদের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়িয়ে দেয়। বিক্রি সহজতর হয়। "