আজ সন্ধ্যা ৬টা ০৪ মিনিটে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করতে চলেছে চন্দ্রযান-৩। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত সব কিছুই ঠিকমত চলছে। যদিও চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণের শেষ ১৫ মিনিট খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানিয়েছে ইসরো। এর ওপর নির্ভর করছে মিশনের সাফল্য। ২০১৯ সালে, ভারতের চন্দ্রযান মিশন শেষ ১৫ মিনিটে বড় ধাক্কা খেয়ে ব্যর্থ হয়। এমন পরিস্থিতিতে শেষ ১৫ মিনিট মুন মিশনের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ইসরোর আশা সব চ্যালেঞ্জ জয় করে চন্দ্রযান ৩ নতুন ইতিহাস গড়বে।
গত ১৪ জুলাই চাঁদে পাড়ি দিয়েছে চন্দ্রযান ৩ । এর আগে ২০১৯ সালে চাঁদে পাঠানো হয়েছিল চন্দ্রযান ২। তবে সেই মিশন সফল হয়নি। সেই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আর কোনরকম ভুল করতে চাইছে না ইসরো। এবার লক্ষ্য চাঁদের দক্ষিণ মেরু, যে অংশে এখনও পৌঁছতে পারেনি কোনও দেশ। সব ঠিক থাকলে ইতিহাস তৈরি করবে ভারত। আপাতত লক্ষ্য সফট-ল্যান্ডিং।
এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন কী এই সফট-ল্যান্ডিং? সফট-ল্যান্ডিং হল ল্যান্ডারের সফল অবতরণ। ল্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে ল্যান্ডার এবং রোভারের কোনরকমের ক্ষতি হওয়াও চলবে না। যদি ল্যান্ডার বা রোভারে সামান্য ক্ষতিও লক্ষ্য করা যায় কিংবা অবতরণে কোনও ত্রুটি দেখা যায় তবে সেটা হবে হার্ড-ল্যান্ডিং। এমনটাই জানিয়েছে ইসরো।
বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ৩। শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্ব এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছে। ল্যান্ডার (বিক্রম) এবং রোভার (প্রজ্ঞান) সমন্বিত ল্যান্ডার মডিউলটি সন্ধ্যা ৬.০৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে নরম অবতরণ করবে। প্রতি মুহূর্তের আপডেটের ওপর নজর রাখবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এখনও পর্যন্ত অভিযানে সফল হয়েছে চন্দ্রযান ৩। আপাতত লক্ষ্য সফট-ল্যান্ডিং। চন্দ্রাভিযানে সফল হওয়া ভারতের কাছে অগ্নিপরীক্ষার সমান। চন্দ্রযান-৩ অবতরণের ১৫ মিনিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানিয়েছে ইসরো।
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও চলছে মুন মিশন নিয়ে জোর চর্চা। ব্রিটেন থেকে আমেরিকা চন্দ্রযানের জন্য শুভেচ্ছার প্রতিধ্বনি তীব্রতর হচ্ছে। লন্ডনে ভারতীয় ছাত্ররা চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করছেন৷ অন্যদিকে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকানরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় চন্দ্রযান ৩-এর জন্য এক বিশেষ যজ্ঞের আয়োজন করেছেন।