/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/13/gLGsJogbO1JG9vH1Zx1R.jpg)
এসি মেশিনের গ্যাস লিকেজ? মেকানিকের কথায় ঠকার দিন শেষ
Air conditioner refrigerant gas: গরমের হাত থেকে মুক্তি পেতে এয়ার কন্ডিশনার মেশিনের জুড়ি মেলা ভার। AC এখনকার সময়ে আর বিলাসবহুল সামগ্রীর মধ্যে পড়ে না, বরং দিন-দিন এটি এখন যেন বেশ অপিরহার্য ঠেকছে মানুষের কাছে। জ্বালাপোড়া-ভ্যাপসা গরমের থেকে মুক্তি পেতে মধ্যবিত্তদের একটা বড় অংশ এসি-তেই ভরসা রাখছেন। তবে ঠিকঠাক উপায় না জেনে AC চালালে বিপদের ঝুঁকিও কিন্তু বেশ বাড়ে।
অনেকেই এসি মেশিনে গ্যাস লিকেজের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এসির গ্যাস লিকিংয়ের পিছনে মূলত ৫টি কারণ রয়েছে। আজ থেকে সতর্ক হোন নাহলে গুণতে হবে হাজার হাজার টাকা!
এয়ার কন্ডিশনারে গ্যাস লিক হওয়া একটি সাধারণ ব্যাপার। এসি গ্যাস লিক হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে । এসি গ্যাস লিক করা শুরু করলে, কখনও কখনও তা বন্ধ করার জন্য আপনাকে ওয়েল্ডিং করতে হতে পারে। আপনি যদি জানেন না কিভাবে এয়ার কন্ডিশনার থেকে গ্যাস লিক হয়, তাহলে আজ বিশদে জেনে নিন এই গ্যাস লিকেজের কারণ ও সমাধান।
আপনি যদি প্রচণ্ড তাপ থেকে বাঁচতে এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করেন তাহলে আপনাকে এসির স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দিতে হবে। প্রচণ্ড গরমে এসি যাতে বিকল না হয়ে যায় তার জন্য মেনে চলতে হবে কতগুলি সাধারণ বিষয়। এসি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করা হলে যে কোন সময়েই এসি বিকল হয়ে যেতে পারে। এটি মেরামত করতে আপনাকে হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হবে, যেটি খুব সহজেই এড়াতে পারবেন।
আরও পড়ুন- ১৮-২১ ডিগ্রিতে এসি চালাচ্ছেন? কী পরিমাণ বেশি বিদ্যুৎ বিল আসছে কল্পনাও করতে পারবেন না!
এসি-তে গ্যাস লিক হওয়া একটি সাধারণ বিষয়। এসি-তে গ্যাস লিকেজের অনেক কারণ থাকতে পারে। তাই প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক এসি-তে গ্যাস লিকেজের কারণগুলি কী কী?
সময়মতো সার্ভিস না করা
গ্রীষ্ম এলেই মানুষজন যথেচ্চ এসির ব্যবহার শুরু করেন। কিন্তু তার আগে এসি সার্ভিস করানোটা একান্ত জরুরি। এসি সার্ভিসিং করার সময় এটি পরিষ্কার করা হয় এবং একই সঙ্গে এসির কনডেন্সারে কোনো লিকেজ থাকলে তাও মেরামত করা হয়। কাজেই দীর্ঘদিন এসি না চালালে তা ব্যবহার করার আগে সার্ভিসিং করিয়ে তবেই ব্যবহার করুন।
কার্বন জমা হওয়া
এসি গ্যাস লিক হওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল এতে কার্বন জমে যাওয়া। কনডেন্সার পাইপগুলি একবার মরচে ধরতে শুরু করলে, শীতলতার পরিমাণ কমবে এবং গ্যাস লিকেজের সমস্যাও বাড়বে। দীর্ঘ সময় ধরে এসি সার্ভিসিং না করা বা এসির রক্ষণাবেক্ষণ না করা কারণেও এটি হতে পারে। শুধু তাই নয়, অনেক সময় কনডেন্সার পাইপে গর্ত তৈরি হয় যার ফলে গ্যাস বের হতে থাকে।
এসির সামনে এবং পিছন দিকে কোন ব্লক না করা
এসি সামনের দিক থেকে ঠাণ্ডা বাতাস ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এবং পিছন থেকে গরম বাতাস বের করে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে আপনি যদি আশেপাশে জিনিসপত্র রাখেন বা এসি থেকে বাতাস বের হওয়ার জন্য জায়গা না থাকে তাহলে এসি নষ্ট হয়ে যায়।
এসি ইউনিটের যত্ন নিন
আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে অনেক বাড়ির বাইরে এসি ইউনিটটি লাগানো থাকে। এমন পরিস্থিতিতে কুকুরের প্রস্রাব এসি পাইপের বড় ক্ষতি করে। কুকুরের প্রস্রাবের কারণে দ্রুত ক্ষয় সৃষ্টি করে এবং কার্বন পাইপে জমা হয়।
এসি পরিষ্কার না করা
এসির এয়ার ফিল্টার প্রতি বছর বদলাতে হবে বা পরিষ্কার করতে হবে এবং এটা না করলে এসির ওপর বারবার চাপ বাড়বে এবং গ্যাস লিকের মতো সমস্যা দেখা দেবে।
ড্রেনেজ পরীক্ষা না করা
আপনার এসির ড্রেনেজ সিস্টেম ঠিক না থাকলে কুল্যান্ট লিক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এসির ড্রেনেজ সিস্টেম বাইরের জল বের করে দেয় তা ঠিক না থাকলে এসির ভিতরের পাইপে জল জমে থাকে।
আরও পড়ুন- বাজার সেরা মিক্সার গ্রাইন্ডার! বছরভর কোনটি ননস্টপ চলবে? কেন কিনবেন?
গ্যাস লিকেজ কিভাবে বন্ধ করবেন?
- সময়মতো আপনার এয়ার কন্ডিশনার সার্ভিসিং করুন।
- AC এর কনডেন্সার পাইপে মরচে যাতে না ধরে খেয়াল রাখুন।
- এয়ার কন্ডিশনার বা তার কাছাকাছি কোনো আইটেম রাখবেন না।
- কুকুরের প্রস্রাব থেকে এসি ইউনিটকে রক্ষা করুন।
- ব্যবহার করার আগে সঠিকভাবে পরিষ্কার করুন।
- এসির ড্রেনেজ সঠিকভাবে পরীক্ষা করুন।
গ্যাস লিকেজ সমস্যা হলে এসিতে বরফ জমতে শুরু করে কেন? আজ আমরা আপনাকে এসি-তে গ্যাস লিকেজের সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায় এবং কীভাবে আপনি আপনার এসিতে গ্যাস লিকেজের সমস্যা আছে তা জানতে পারবেন।
এসি-তে গ্যাস লিকেজের সমস্যা খুবই সাধারণ, প্রত্যেক ব্যক্তি যার বাড়িতে এসি লাগানো আছে তারা সকলেই কখনও না কখনও এই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। জানেন কী ফ্রিজের মতো AC-তে বরফ জমতে শুরু করে। কিন্তু কেন? কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যখন এসি-তে গ্যাস লিকেজের সমস্যা হয়, তখন এসির ইভাপোরেটর কয়েলে আর্দ্রতার কারণে বরফ তৈরি হতে থাকে।
গ্যাস লিকেজের লক্ষণ- এসি যদি আগের মতো ঠাণ্ডা বাতাস সরবারাহ না করা তাহলে তা গ্যাস লিকেজের লক্ষণ হতে পারে।
আপনি যদি দেখেন AC এর ভিতরে বা আশেপাশে বরফ জমে, তাহলে তা গ্যাস লিকেজের লক্ষণ হতে পারে।
আপনার বাড়িতে যদি হঠাৎ এসির কারণে বিদ্যুতের বিল বেড়ে যায়, তাহলে বুঝবেন এটি গ্যাস লিকেজের লক্ষণ হতে পারে।
গ্যাস রিফিলিং চার্জ:
গ্যাস লিকেজের সমস্যা সমাধানের পরে, গ্যাস রিফিলিং করতে প্রায় ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা খরচ হয়।
এয়ার কন্ডিশনারে প্রধানত তিন ধরনের গ্যাস ব্যবহার করা হয়। এই গ্যাসগুলো হল R-22, R-410A, R-32। এ ছাড়া আরও অনেক গ্যাস এয়ার কন্ডিশনারে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত 800 থেকে 1200 গ্রাম গ্যাস AC তে ব্যবহার করা হয়। একটি এয়ার কন্ডিশনার এর কম্প্রেসারে যে পরিমাণ গ্যাস লাগে তা নির্ভর করে কত টনের এসি, মডেল এবং ব্যবহৃত রেফ্রিজারেন্টের ধরণের উপর।
কিন্তু দেখা গেছে, এয়ার কন্ডিশনার মেকানিকরা এসি-তে গ্যাস রিফিলিংয়ের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে যথেচ্ছ দাম নেয়। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি এসির গ্যাসের প্রকারভেদ এবং এয়ার কন্ডিশনার ধারণক্ষমতা অনুযায়ী এর দাম সম্পর্কে বিশদ তথ্য।
সাধারণত, ভারতে এয়ার কন্ডিশনারগুলিতে তিনটি প্রধান ধরণের গ্যাস ব্যবহৃত হয়। এই গ্যাসগুলো হল R-22, R-410A, R-32। সাধারণত 800 থেকে 1200 গ্রাম গ্যাসের প্রয়োজন হয় এসিতে। গ্যাসের ক্ষমতাও এয়ার কন্ডিশনার এবং কোম্পানির ক্ষমতার উপর নির্ভর করে।
আরও পড়ুন - ডবল ডোর ফ্রিজ কিনবেন? মাত্র ৬৫ টাকায় স্বপ্নপূরণ, একেবারে হইহই কাণ্ড!
কোন গ্যাস এয়ার কন্ডিশনার জন্য ভাল?
বিভিন্ন রেফ্রিজারেন্টের দাম আলাদা। উদাহরণস্বরূপ, R-22 গ্যাস R-410A এর চেয়ে সস্তা, কিন্তু কম পরিবেশ বান্ধব। এয়ার কন্ডিশনার গ্যাসের দাম বর্তমান বাজার মূল্যের উপর নির্ভর করে। সাধারণত গ্যাসের দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, একটি সাধারণ 1.5 টন এসি-তে প্রায় ১.২ থেকে ১.৫ কেজি গ্যাসের প্রয়োজন হতে পারে। যদি গ্যাসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা হয় এবং সার্ভিস চার্জ ৮০০ টাকা হয়, তাহলে মোট খরচ হতে পারে (১.৫ কেজি × ৭০০ টাকা/কেজি + ৮০০ টাকা) = ১৮৫০ টাকা। এই বিবরণগুলির উপর ভিত্তি করে, আপনি আপনার এয়ার কন্ডিশনার কম্প্রেসারে প্রয়োজনীয় তথ্য এবং গ্যাস রিফিলিংয়ের খরচ অনুমান করতে পারেন।