Advertisment

মহাকাশ গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচনে ভারতের নয়া কীর্তি 'LIGO-ইণ্ডিয়া', কী করবে?

মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এক নয়া দিগন্ত খুলে দেবে এই প্রকল্প।

author-image
IE Bangla Tech Desk
New Update
Ligo, Ligo India, Ligo India approves, What is Ligo, What are gravitational waves, gravity, Albert Einstein, Science News, Atomic energy, India Today Science"

মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে LIGO-ইণ্ডিয়া, সহজেই শনাক্ত করা যাবে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ

মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সনাক্তকরণের জন্য একটি বড় যুগান্তকারী উদ্যোগ, ভারতের LIGO প্রকল্প ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মিত হবে। যা মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এক নয়া দিগন্ত খুলে দেবে। LIGO, বা লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল-ওয়েভ অবজারভেটরি, হল একটি আন্তর্জাতিক ল্যাবরেটরির নেটওয়ার্ক যার উদ্দেশ্য হল মহাকর্ষীয় তরঙ্গকে শনাক্ত করা।

Advertisment

LIGO-তে দুটি দৈত্যাকার লেজার ইন্টারফেরোমিটার রয়েছে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানা রাজ্যের হ্যানফোর্ড, ওয়াশিংটন এবং লিভিংস্টনে অবস্থিত। ২০১৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত দুটি LIGO লেজার ইন্টারফেরোমিটার প্রথম মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করে। মহারাষ্ট্রের হিঙ্গোলি জেলায় অবস্থিত, LIGO-ইন্ডিয়া ২০৩০ সালে তার বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম শুরু করতে চলেছে।

পারমাণবিক শক্তি বিভাগ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ ইউএস ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন এবং বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্বে LIGO-ইন্ডিয়া তৈরি হতে চলেছে। আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে ভারতকে গড়ে তোলা ছাড়াও, এই প্রকল্পটি ভারতে বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।

মুম্বই থেকে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার পূর্বে হিঙ্গোলি জেলায় প্রায় ৬০০ একর জমিতে গড়ে তোলা হবে এই প্রকল্প। ২০৩০ সাল নাগাদ চালু হবে।র লক্ষ্য সামনে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেছেন যে হিঙ্গোলি জেলায় ইতিমধ্যেই ১৭৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

১১ মে জাতীয় প্রযুক্তি দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রথম বিশেষ মানমন্দির, লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ অবজারভেটরি (LIGO)-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই প্রকল্পের সমাপ্তির পরে, ভারত এখন বিশ্বের নির্বাচিত দেশগুলির তালিকায় যোগ দেবে যেখানে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ অধ্যয়নের জন্য মানমন্দির রয়েছে।

আমেরিকায় ২টি এবং জাপান ও ইতালিতে একটি করে মানমন্দির রয়েছে। এখন ভারতও যোগ দিতে চলেছে এই তালিকায়। শুধু তাই নয়, LIGO-ইন্ডিয়া দুটি মার্কিন মানমন্দিরের সহযোগিতায় কাজ করবে। আগামী দিনে এই মানমন্দির দেশের শিক্ষার্থী ও বিজ্ঞানীদের গবেষণা ও অধ্যয়নের আরও ভালো সুযোগ দেবে। মহাকর্ষীয় তরঙ্গ মহাকাশে একটি অদৃশ্য, কিন্তু অত্যন্ত দ্রুত তরঙ্গ। মহাকর্ষীয় তরঙ্গ আলোর গতিতে ছুটে বেড়ায়। যার গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১৮৬০০০মাইল।

পদার্থবিদ আলবার্ট আইনস্টাইন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে যখন দুটি দেহ যেমন গ্রহ বা নক্ষত্র একে অপরকে প্রদক্ষিণ করে, তখন এই গতি মহাকাশে তরঙ্গ সৃষ্টি করতে পারে। এই ঢেউগুলি পুকুরে পাথর নিক্ষেপের তরঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ে। বিজ্ঞানীরা এই তরঙ্গগুলিকে মহাজাগতিক মহাকর্ষীয় তরঙ্গ বলে থাকেন। এই তরঙ্গগুলি অনুধাবন করার জন্য LIGO-India তৈরি করা হচ্ছে।

২০১৫ সালে, বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সনাক্ত করেছিলেন। এর জন্য তিনি LIGO অর্থাৎ লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল-ওয়েভ অবজারভেটরি নামে একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল যন্ত্র ব্যবহার করেন। বিজ্ঞানীদের মতে, দুটি ব্ল্যাক হোলের সংঘর্ষে প্রথম মহাকর্ষীয় তরঙ্গের সৃষ্টি হয়েছিল। এই সংঘর্ষগুলি ১.৩ বিলিয়ন বছর আগে ঘটেছিল।

এই বৈজ্ঞানিক প্রকল্পটি LIGO ল্যাবরেটরি এবং ভারতের তিনটি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় পরিচালিত হবে। এই তিনটি প্রতিষ্ঠান হল ইন্দোরে রাজা রামান্না সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড টেকনোলজি (RRCAT), আহমেদাবাদের ইনস্টিটিউট ফর প্লাজমা রিসার্চ (IPR) এবং পুনেতে ইন্টার-ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (IUCAA)

ISRO modi
Advertisment