২৫ বছর সংসার করার পর এবার স্ত্রী ম্যাকেনজির সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি জেফ বেজোসের। বুধবার টুইটারে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছেন দম্পতি। অনেকদিন ধরেই আলাদা ছিলেন দুজনে। কাজেই সম্প্রতি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আর স্বামী স্ত্রী হিসাবে নয়, বন্ধুত্বপূর্ণ জীবন কাটাতে চান দুজনে। ১৯৯৩ সালে বিয়ে করেছিলেন ম্যাকেনজি-জেফ। বিবাহের পরের বছর অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেন জেফ। তার পরের দু দশকে এই কোম্পানি বিশ্বের সেরা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে।
ব্লুমবার্গের কোটিপতি সূচকে ৫৪ বছর বয়সী জেফ বেজোসের সম্পদের পরিমাণ বর্তমানে তেরো হাজার সাতশো কোটি ডলার। ওয়াল স্ট্রিট ঘোষণা করেছে, বিবাহবিচ্ছেদ বেজোসের অ্যামাজনকে প্রভাবিত করবে কিনা তা নিয়ে বিনিয়োগকারীরা নজর রাখবেন অ্যামাজনের ওপর। বহু বছর ধরেই কোম্পানি ফুলে ফেঁপে উঠেছে, কাজেই বিগত বছরগুলির ইতিহাস আত্মবিশ্বাস বজায় রাখবে অ্যামাজনের। স্পেস এক্সপ্লোরেশন কোম্পানি ব্লু অরিজিনের মতো বেজোসের পার্শ্ব প্রকল্পগুলির ওপর অবশ্য প্রভাব পড়তে পারে।
ঘোষণার কয়েক ঘন্টা আগে ন্যাশনাল এনকোয়ারার নামক ট্যাবলয়েড সংবাদপত্রটি টুইট করে জানায়, বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছেন মিঃ এবং মিসেস বেজোস। এনকোয়ারার এবং নিউ ইয়র্ক পোস্টে জানা গেছে, টিভি অ্যাঙ্কর এবং হেলিকপ্টার পাইলট এবং হলিউডে নতুন প্রতিভার এজেন্ট প্যাট্রিক হোয়াইটসেলের স্ত্রী লরেন সানচেজের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে জেফ বেজোসের। নিউ ইয়র্ক পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে সানচেজ ও হোয়াইটসেল সদ্য আলাদা হয়েছেন। ম্যাকেঞ্জি অবশ্য জানতেন এই সম্পর্কের কথা। তাঁর স্বামী বিচ্ছেদের অনেক আগে থেকেই সম্পর্ক রাখতেন সানচেজের সঙ্গে। মূলত সেই কারণেই বিবাহবিচ্ছেদ বলে মনে করা হচ্ছে।
Read the full story in English