একের পর এক ফোন লঞ্চ, বুঝে উঠতে পারছেন না কোনটা কিনবেন ? চাহিদায় রেখেছেন নচ ডিজাইনের স্ক্রিন, ভালো ক্যামেরা, এদিকে চার্জ হবে দীর্ঘস্থায়ী। তাহলে আপনার জন্য রইল সেরা পাঁচের তালিকা।
Moto G6
অ্যাসপেক্ট রেশিও ৫.৭ ইঞ্চির ডিসপ্লে সহ Moto G6 মডেলটিতে রয়েছে ২১৬০X১০৮০ রেজোলিউশনের ম্যাক্স ভিশন। কোয়ালকাম স্ন্যাপড্রাগন ৪৫০ এর সঙ্গে অ্যাডরেনো ৫০৬ জিপিইউ প্রসেসরে চলা ফোনটি ২ টি র্যাম ও স্টোরেজ ভার্সনে পাওয়া যাবে। ফোনের মুখ্য ক্যামেরাটি ১২ ও ৫ মেগাপিক্সেল কম্বিনেশনের । সেলফির জন্য সামনে LED ফ্ল্যাশ সহ পাওয়া যাবে ১৬ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। জল থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য Moto G6 মডেলটিতে রয়েছে p2i কোটিং। যে কারণে বৃষ্টির মধ্যেও অনায়াসে ব্যবহার করতে পারবেন ফোনটি। ৩০০০ এমএএইচের শক্তিশালী ব্যাটারি রয়েছে Moto G6, চটজলদি চার্জ করার জন্য ফোনটির সঙ্গে পাওয়া যাবে ১৫ ওয়াটের টারবো চার্জার। অ্যান্ড্রয়েড ৮.০ ওরিও অপারেটিং সিস্টেম পাওয়া যাবে হ্যান্ডসেটটিতে।
RealMe 1
ওপো রিয়েলমি ওয়ান ফোনটিতে সুরক্ষিত রাখার জন্য রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ও ফেসিয়াল রেকগনিশন। কোম্পানির নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম কালার ৫.০ দ্বারা চলবে ফোনটি। উল্লেখ্য ওপোর এই অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ ওরিও অপারেটিং সিস্টেমের ওপরই তৈরি। ১৮: ৯ অ্যাসপেক্ট রেশিওর ৬.০ ইঞ্চির ডিসপ্লেতে পাওয়া যাবে IPS LCD FHD+ (২১৬০×১০৮০ পিক্সেল) রেজলিউশন। তবে বাজারে গুজব, ফোনটিতে থাকতে পারে ১৩ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি শ্যুটার, যার মধ্যে ডেপথ এফেক্ট সহ PDAF ফিচার পাওয়া যাবে। পোট্রেট মোড সহ ৮ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা থাকবে সামনে। সেলফির আদবকায়দাকে মাথায় রেখেই সামলের ক্যামেরা ইন্টারফেসেই দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন স্টিকার ও AI পাওয়ার ফিল্টার।
নতুন এই ফোনটির চকচকে ব্যাক কভার সহ আউটলুক নজর কাড়বে গ্রাহকদের , তা নিয়ে প্রত্যাশা রয়েছে কোম্পানির। মিডিয়াটেক MT6771 প্রসেসরে চলা এই ফোনটি পাওয়া যাবে ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ ভার্সনে। কিছুদিন আগে ট্যুইটারে একটি পোস্টের মাধ্যমে কোম্পানি জানিয়েছে, ৩৪১০ এমএইচের শক্তিশালী ব্যাটারি ব্যাকআপ থাকবে। তাই সামান্য চার্জেও দিব্য চলবে ফোনটি। মাল্টিটাস্কিংয়ের সময় কোনো অসুবিধা ছাড়াই অনায়াসে চলছে রিয়েল মি। সাধারণত বাজার চলতি ফোনগুলির ক্ষেত্রে একটি অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে থাকি, ফোন বেশি ব্যবহারের ফলে গরম হয়ে গেলে অনেক অ্যাপ মাঝ পথেই বন্ধ হয়ে যায়। তবে ওপো পোম্পানির দাবি এই ফোনে AI প্রসেসর থাকার কারণে এই রকম সমস্যা হবে না।
OnePlus 6
অ্যাপেলের আইফোন টেনের মত হুবহু একই নচ্ ডিজাইনে তৈরি ওয়ানপ্লাস সিক্স, যাতে উন্নত মানের ক্যামেরা সহ পাওয়া যায় ওয়ারলেস হেডফোন, যার পোশাকি নাম ওয়ানপ্লাস বুলেট ওয়ারলেস হেডফোন। গুগল অ্যাসিসটেন্টও পাওয়া যাবে এই হেডফোনের মাধ্যমে। ৫ জুন থেকে এই হেডফোন পাওয়া যাচ্ছে অ্যামাজন প্রাইমে।
১৯:৯ অ্যাসপেক্ট রেশিও সহ, ৬.২৮ ইঞ্চির AMOLED ডিসপ্লেতে রয়েছে নচ ডিজাইন, ওয়ানপ্লাস ফাইভের মত ফর্ম ফ্যাক্টর একই থাকলেও বদলে গেছে স্ক্রিন টু বডি রেশিও। গুগল প্লে স্টোরে ১০ হাজারের মত অ্যাপ চালাতে সক্ষম ওয়ানপ্লাস সিক্সের নচ, ফলত মাল্টিটাস্কিং অনায়াসে সম্ভব এই ফোনে, এবং সম্ভব যে কোনো ভারী গেম খেলা।
নতুন ফোনটিতে রয়েছে ডুয়াল রেয়ার ক্যামেরা। থাকছে f/১.৭ অ্যাপারচারের, OIS, EIS সহ ১৬ মেগাপিক্সেলের সোনি IMX ৫১৯ প্রাইমারি সেন্সরের ক্যামেরা এবং ২০ মেগাপিক্সেলের IMX ৩৭৬K সেকেন্ডারি লেল্স। ক্যামেরার সঙ্গে রয়েছে দুটি LED ফ্ল্যাশ। ১০৮০ পিক্সেল রেজলিউশন ২৪০ এফপিএসে শ্লো-মোশন সমেত ১০৮০ পিক্সেলে ফোর কে ভিডিও শ্যুট করতে সক্ষম এই ক্যামেরা। সেলফির জনপ্রিয়তা মাথায় রেখে ১৬ মেগাপিক্সেলের সোনি IMX ৩৭১ সেন্সর সহ f/ ২.০ অ্যাপারচারের ক্যামেরা থাকবে সামনে। পোর্ট্রেট মোড সহ AI ফিচার ব্যবহার করা যাবে সেলফি ক্যামেরায়।
অক্টাকোর কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৪৫ প্রসেসরে চলা ফোনটিতে থাকবে ২.৮ গিগাহার্টজের আদরেনো ৬৩০ GPU। তবে কোনো এক্সটারনাল মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা যাবে না ফোনটিতে। ওয়ানপ্লাস সিক্সফোনে ৩,৩০০ এমএইচের ব্যটারিকে ফুল চার্জ করার জন্য কোম্পানি ড্যাশ চার্জ প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। অক্সিজেন অপারেটিং সিস্টেম থাকবে ফোনটিতে, যা অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ ওরিও OS এর ওপর তৈরি বলে জানানো হয়েছে কোম্পানির তরফ থেকে।
Huawei P20 Pro
পি -২০ প্রো হুয়াওয়ের এবছরের ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন, ভারতের বাজারে যার দাম হতে পারে প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকার মধ্যে। এমূহুর্তে বাজারে উপলদ্ধ সেরা দুটি ফোন স্যামসাং গ্যালাক্সি এস নাইন এবং অ্যাপল আইফোন টেনের সঙ্গে অনায়াসে পাল্লা দিতে পারবে এই ফোন বলে দাবী করেছেন কোম্পানি। বেজেলহীন পি -২০ প্রো ফোনটিতে রয়েছে ৬.১ ইঞ্চির এলইডি ডিসপ্লে যার স্ক্রীন রেজলিউশন হবে ২২৪০ x ১০৮০ পিক্সেল। আইফোন টেনের মতই এই ফোনটির সামনের দিকে কোন নেই। কালো, রাত্রি নীল এবং গোলাপী এই তিনটি রঙে পাওয়া যাবে ফোনটি।
এই ফোনটিতে আছে কোম্পানির তৈরী নিজস্ব ৯৭০ অক্টা কোর প্রসেসর। এছাড়াও থাকবে ৬ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজও। এই ফোনটি চলবে অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ ওরিও অপারেটিং সিস্টেমের ওপর তৈরী করা EMUI ৮.১ ইন্টারফেস। একটি ৪০০০ এমএইচের ব্যাটারিও থাকবে হুয়াওয়ে পি -২০ প্রো ফোনটিতে।
হুয়াওয়ে পি -২০ প্রো ফোনটির সবচেয়ে আকর্ষনীয় বিষয় হবে এর ক্যামেরা। এজন্য থাকবে লেইকা ট্রিপল লেন্স সিস্টেমের একটি ৪০ মেগাপিক্সেলের RGB সেন্সর, ২০ মেগাপিক্সেল ওয়াইড অ্যাঙ্গেল এবং ৮ মেগাপিক্সেলের একটি টেলিফোটো লেন্স। কম আলোয় ভাল ছবি তুলতে এতে থাকবে f/ ১.৮ ও f/১.৬ এর কালার টেম্পারেচার সেন্সরও। ফাইফ এক্স হাইব্রিড জুমের জন্য থ্রিএক্স টেলিফোটো লেন্সও থাকবে এই স্মার্টফোনটিতে। এছাড়াও থাকবে ৯৬০ এফ পি এসে স্লো-মো ভিডিও রেকর্ডিংয়ের সুবিধাও এবং একটি ২৪ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা।