২৬ অক্টোবর থেকে শুরু Apple iPhone XR এর সেল। এর আগেই ঘটা করে কুপারটিনো শহরের জায়েন্ট টেক হাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফোনে লঞ্চ। অক্টোবরের মধ্যে প্রায় ২০ মিলিয়ান ফোন তৈরি করে ফেলে অ্যাপেল। আগাম রেজিস্ট্রেশনের বহর দেখে অনুমান করা হচ্ছে সবচেয়ে Apple iPhone XR প্রতি ঝোঁক বেশি রয়েছে গ্রাহকদের। রিপোর্ট অনুযায়ী, আশা করা হচ্ছে যে Apple iPhone XR চাহিদা ২০১৯ অবধি তরতাজা থাকবে। সম্প্রতি অডারের ৫০ শতাংশের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেছে। এখন গ্রাহকদের হাতে পাওয়ার অপেক্ষায়। মনে করা হচ্ছে চীনের চাহিদা দ্বিগুণ শুধুমাত্র সিম বৈশিষ্ট্যের জন্য।
Apple iPhone XS সিরিজের ক্ষেত্রে, ম্যাক্সের বৃহত্তর চালান প্রতি মাসে ৪ থেকে ৫ মিলিয়ন ইউনিট হারে চলতে থাকবে, যা আইফোন শিপমেন্টের মোট বিক্রির ২0 শতাংশ। সূত্রের খবর, ছোট iPhone XS "নভেম্বরে বিক্রি গতি হ্রাস হতে পারে"। সেভাবে বাজার করতে পারবে না বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি। তার প্রথম কারণ iPhone X এর মত একই ধরণের দেখতে এই নতুন ফোনটি। বাকি ফিচারও অনেকটা একই ধাঁচের। যদিও এতে A12 Bionic chip সংযোজন হয়েছে এবং ক্যামেরা সিস্টেমের উন্নতি করেছে।
অনেকদিন ধরেই অ্যাপেলের iPhone XR ফোনটি নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলেছিল গ্যাজেট ওয়ার্ল্ডে। এখন সে সব অতীত। ৬.১ ইঞ্চির iPhone XR এর আউটলুক তাক লাগিয়ে দিয়েছে মোবাইল দুনিয়াকে। তবে ফোনটির সামনের অংশ হুবহু আইফোন টেনের মতই। পিছনের দিকটি iPhone 8 নকল করেছে অ্যাপেল নিজেই। তবে iPhone XR এবং iPhone XS দুটিকে পাশাপাশি ধরলে LCD ডিসপ্লের সেই তফাৎ চোখে পরবে না। তবে অ্যালুমিনিয়ামটি আইফোন এক্স সিরিজের থেকে সামান্য আলাদা।এই ফোনটির জন্য অ্যাপেল তিন রকমের রঙ নিয়ে এসেছে। যা নতুন প্রজন্মের কাছে আকর্ষনীয় হতে পারে।
অ্যাপল iphone XR ৬৪ জিবি, ১২৮ ও ২৫৬ জিবি মডেলের সাদা, কালো, হলুদ, নীল রঙে ৭৬,৯০০ টাকায় পাওয়া যাবে। ১৯ অক্টোবর থেকে এই ফোনটি ভারতীয়রা অর্ডার দিতে পারবেন। iphone XR সহ বাকি দুটো ফোনেই নেই হোম বটম। প্রথমবার এই ফোনে edge-to-edge LCD ডিসপ্লে পাওয়া যাবে। তবে গুজব খানিক সত্য, এতে নেই জনপ্রিয় থ্রিডি টাচ। ওয়াইড অ্যাঙ্গেলের ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে ফোনটিতে। ক্যামেরার ফিচারের তেমন কোনো ব্যতিক্রম নেই। ব্যাটারি ব্যকআপ iphone 8 plus ফোনটির মতই হবে বলে জানিয়েছে অ্যাপেল।